আজ ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আবু তালেব আনচারী
চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চন্দনাইশে স্বামী, শ্বাশুরী, দেবরের শাররিক ও মানসিক নিযার্তনের শিকার হয়ে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। উপজেলার বরকল ইউনিয়নে পাঠানদন্ডী ৭ নংওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত ২০১৮ সালের ১ সেপ্টম্বর কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের সাবেক রফিক মেম্বারের এর একমাত্র কন্যা তাসনিম ইবনাত মিম (২১) এরসাথে একই উপজেলার ববরকল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পাটানদন্ডী এলাকার মৃত মজিদ মেম্বারের প্রবাসী ছেলে নাজিম উদ্দিন বাবুলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৪ মাস পর স্বামী বিদেশে চলে যায়, তাদের সংসারে একটি ১৭ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে।
স্বামী বিদেশ যাওয়ার পরথেকে বাড়ীতে থাকা কলেজ পড়ুয়া দেবর টিপলু বারবার যৌন হয়রানী করার জন্য কু প্রস্তাব দিয়ে আসত বলে জানান নিহতের বাবা রফিক মেম্বার। কু প্রস্তাবে রাজি নাহওয়ায় এবং বিষয়টি বাপের বাড়ীতে বলে দিবে জানালে গত ৩ নভেম্বর কৌশলে বিষ পান করিয়ে দেয় বলে দাবি করেন নিহতের বাবা, ভাই আরিফ ও আত্নীয় স্বজন সহ এলাকাবাসী।
বিষ প্রয়োগের পর মিম প্রচন্ড বমি করতে থাকলে খবর পেয়ে নিহতের পরিবার মিমকে শ্বাশুর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজিসি ট্রাষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন সেখানে তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ৩দিন পর গত রাতে মারা যায় মিম।
ঘটনার সত্যতা ও রহস্য জানার জন্য নিহতের শ্বাশুর বাড়ী পাঠান দন্ডী গিয়ে দেখা যায় বাড়ীতে তালালাগিয়ে শ্বাশুর বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত মিম এর বাবা মো রফিক মেম্বার বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় হত্যা মামলার দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। আজ ৬ নভেম্বর বাদে এশা ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিহতের বাপের বাড়ীকাঞ্চন নগরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নাছির উদ্দিন এর সাথে য়োগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন, লাশ দাপন হওয়ার পর মামলা রুজু হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।