আজ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আবছারকে হত্যার হুমকি ও ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল ১৮ নভেম্বর বুধবার বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ঐ জিডিতে আসামী দেখানো হয়েছে ডাকাতি, মানবপাচার, নারী নির্যাতন, অস্ত্র আইন ও মাদক আইনে জড়িত ৮টি মামলার আসামী ছোট ছনুয়া গ্রামের মোজ্জাফ্ফর আহমদের ছেলে শফি আলম প্রকাশ ডাকাত শফি প্রকাশ ইয়াবা শফি প্রকাশ মানব পাচারকারী শফি (৩৭), ৬টি মামলার আসামী তার ভাই মো. ইসমাইল প্রকাশ ডাকাত ইসমাইল (৩২), ৪টি মামলার আসামী মো. হারুন প্রকাশ মানব পাচারকারী হারুন (২৩)। সন্ত্রাসীদের উর্পযুপরি হুমকির প্রেক্ষিতে ইউপি সদস্য নুরুল আবছার ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের জিডি তদারককারী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দিন জানান, আতংকিত ইউপি সদস্য নুরুল আবছার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি জিডি করেছেন। তা আইনগতভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ছনুয়া ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, আমি ইউপি সদস্য হিসেবে এলাকায় সংঘটিত মাদকপাচার, মানবপাচার, নারী নির্যাতন, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলার সাক্ষী। উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির দায়ের করা বিভিন্ন মামলার সাক্ষী।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে গঞ্জে হেঁটে যাবার সময় উক্ত সন্ত্রাসীরা পৃথক পৃথক সময়ে পথমধ্যে গতিরোধ করে অস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে মামলার সাক্ষী না দেয়ার হুমকি দিতে থাকে। এছাড়া জীবনে বেঁচে থাকতে হলে ২০ লাখ চাঁদা দিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন। আমার পরিবারের ওপরও হামলা করবে বলে হুমকি দিতে তাকে।
সর্বশেষ গত ৬ নভেম্বর উক্ত সন্ত্রাসীরা আরও ১০/১২ জন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমিন সিকদার পাড়াস্থ বেড়িবাঁধের ওপর আটকিয়ে সশস্ত্র হুমকি দেয়। এর পর থেকে আমি এলাকা ছাড়া। আমাকে না পেয়ে প্রতিনিয়ত আমার পরিবারের লোকজনকেও হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের দাবির ২০ লাখ টাকা পৌঁছে দেয়ার নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অস্ত্রের ঘটনা দেখিয়ে এবং চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় জিডি হয়না তাই আদালতে জিডি করেছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)-৭, চট্টগ্রামের কাছে আবেদন করব। আমি চরমভাবে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।