আজ ২৫শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
মহিউদ্দিন চৌধুরী,ষ্টাফ রিপোর্টার:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল যুব সংগঠন গড়ে তোলার জন্য যেই মুহূর্তে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠা শেখ মনি ভাই এর সুযোগ্য পুত্র শেখ শেখ ফজলে শামস পরশ কে দিয়ে সপ্তম কংগ্রেসের মাধ্যমে বিতর্ক ব্যাক্তিদের বাদ দিয়ে অনেক যাচাই যাচাইয়ের মাধ্যমে বিগত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাননীয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করছেন তখন কাহারো নামের তালিকায় মোবাইল নাং ছিলো না -যে-ই মূহুর্তে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতৃবৃন্দের হাতে কমিটি হস্তান্তরিত হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের কমিটিতে লুকিয়ে থাকা কিছু কুচক্রী মহল ৯৪৬ নং বায়োডাটায় নাম দারী প্রকৃত মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী এবং তৃণমূল হতে তিল তিল করে বেড়ে উঠা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এর নামের তালিকার পাশে একজন মিথ্যা প্রতারণা করে আবদুর রহমানের মোবাইল নাং বসায় দিয়ে রাতারাতি রহমান কে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের নেতা বানিয়ে দিলো।
ষড়যন্ত্রকারীরা সেই খানেও থেমে থাকেনি তারা চট্টগ্রাম থেকে আমদানি করে আরো কয়েকজন কে বিমান এর টিকেট দিয়ে ঢাকায় নিয়ে গেলো, তারপর তাদের সবাইকে নিয়ে রহমানের পদবি কে জায়েজ করার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল কে ফুলের তোড়া দিয়ে ষড়যন্ত্ররের শতভাগ সফল হয়ে এবার তাদের কর্মীদের কে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এ প্রচারণা চালিয়ে তাঁরা এখন তৃণমূল আওয়ামী যুবলীগের নেতা কর্মীদের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে শুরু হয়ে গেছে, তাদেরকে ধিক্কার জানিয়ে গত কয়েকদিন যাবত পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুন রশীদ চৌধুরী, আব্দুর রহমান এর স্বাগতিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম, পটিয়া পৌরসভার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছির, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল আলম সহ শতাধিক নেতা কর্মী বিসম্ময় প্রকাশ করে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, যারা রহমানের মতো সাবেক যুবদলের কর্মীকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের পদ বাগিয়ে নেওয়ার সময় সহযোগিতা করেছে তাদের কে ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে ব’লে জোর দাবি জানাচ্ছেন।
একজন ব্যাক্তি আব্দুর রহমান ১৯৯০ সাল হতে ২০২০ আওয়ামী রাজনীতির সাথে সংযুক্ত না হয়ে, স্থানীয় কোন সংগঠন এর সাধারণ সদস্য না হওয়ার পরে কিভাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের উপ ক্রীড়া সম্পাদক এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদবি পেয়ে যায়? সেটাই এখন চট্টগ্রামের জনমনে ক্ষোভ বিরাজমান।
এক সময় আব্দুর রহমান দেশের সুনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপে ডেলিভারি সেকশনে চাকরি করতো সেই সময় তিনি ৯০/১০০ টনের মতো মালামাল চুরি করে বিক্রির দায়ে চাকরি চ্যুত হতে হয়, জেল জরিমানা থেকে বাঁচতে সেই রহমান তার ঘরে জুতোর বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে রাখা টাকা ফেরত ও মুচলেকা দিয়ে ঢাকায় গিয়ে একজন পটিয়ার সন্তান কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের নেতার আশ্রয় প্রশ্রয় ঢাকায় বসবাস শুরু করে এমন কি সেই নেতার মাধ্যমে সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এমপির দুয়ারে পৌঁছে দেন সুকৌশলে তার জন্য সুপারিশ আদায় করে নেন,সেই আব্দুর রহমান দেশের আলোচিত দূর্নীতিবাজ রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ এর ব্যাবসায়িক প্রার্টনার, এই রহমান সচিবালয়ের ভুয়া পাস বিক্রির দালান চক্রের সদস্য সেই এক সময় সচিববালয়ে ভুয়া পাস নিয়ে ঢুকতে গিয়ে পুলিশ এ-র হাতে গ্রেপ্তার হয় সেই সময় এই রহমান কে পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুন রশীদ চৌধুরীর এলাকার লোক হওয়ার কারণে মেয়র হারুন রশীদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছল উদ্দিন আহমদ এমপি (তখন এমপি ছিলো না) সুপারিশ করে ছাড়িয়ে নেন। তার কাছে অনেক লোকজন প্রতারণার স্বীকার হয়ে ভয়ে মূখ খুলছে না।