আজ ২৫শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
মহিউদ্দীন চৌধুরী,বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম ১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দীর্ঘ চেষ্টা-প্রচেষ্টার পর সরকার এবং আলেম-ওলামাদের মাঝে বিরাজমান কষ্টার্জিত সুসম্পর্ক নষ্ট করার ষড়যন্ত্র রুখতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের সাথে আলেম-ওলামাদের কষ্টার্জিত বর্তমান সেতুবন্ধন তৈরির পথ মোটেও মসৃণ ছিলনা। আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহঃ) ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে অনেক আটঘাট পার হয়ে চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলাম আমরা সেদিন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামাদের প্রতি এবং মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি, বিশেষ করে দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত কওমি মাদ্রাসার উন্নয়নে ও আধুনিকায়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
ড.আবু রেজা এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই যেখানে নিজেই ধর্মীয় ইস্যুতে বরাবরই সংবেদনশীল মনোভাবাপন্ন সেখানে উগ্র রাজনীতি চর্চার কোন দরকার নেই। আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি ৩০ নভেম্বর কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলা আল জামেয়াতুল আরবিয়া আল ইসলামিয়া’ প্রকাশ গোরকঘাটা মাদ্রাসায় আয়োজিত সুধী ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
অপর সংবর্ধিত অতিথি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য (কক্সবাজার-৪ (মহেশখালী- কুতুবদিয়া) আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সব ধর্মের সব মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের বিষয়াদি বিবেচনায় রেখে তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসারে গ্রহণ করেছিলেন বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকরী নানা ব্যবস্থা। তিনি যেমন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনিই। এ দুটি অনন্য সাধারণ অনুষঙ্গ বঙ্গবন্ধুর জীবনকে দান করেছে উজ্জ্বল মহিমা।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে ইসলামের সম্প্রসারণ, ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার-প্রসারে যে সীমাহীন অবদান রেখে গেছেন, তা সমকালীন মুসলিম দুনিয়ার ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে চিরকাল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালীর পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া, গোরকঘাটা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল মোনায়েম, মাওলানা নেছার আহমদ, মাওলানা সামশুল আলম, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ কাদের নদভী, চাইল্লাতলী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী একই দিনে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর চাইল্লাতলী, নতুনবাজার, ঝাপুয়া মাদ্রাসাসহ প্রসিদ্ধ তবলিগী মরকজ ‘মসজিদে নূর’ পরিদর্শন, আর্থিক অনুদান প্রদান এবং একাডেমিক ভবন নির্মিণের আশ্বাস ছাড়াও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন।