আজ ২০শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
বুধবার (৬ জানুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুদিনে উপজেলার তেমুহনী, কেঁওচিয়া মাদারবাড়ী, ছনখোলা ও চুড়ামণি এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর।
এসময় ৮ টি ইটভাটাকে ১৭ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এবং ইটভাটা সমূহে অভিযান পরিচালনা করে সবগুলো ইটভাটার প্রায় ২০ লক্ষ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
ইটভাটাগুলো হলো, এইচ এন বি, সেভেন বি এম, এস বি এমমেসার্স হাজী দানু মিয়া ব্রিকস, মেসার্স এ. এস. সি ব্রিকস, মেসার্স কাজী মসজিদ ব্রিকস, মেসার্স জামাল ব্রিকস ম্যানু ব্রিকস, মেসার্স থ্রী স্টার ব্রিকস,মেসার্স হযরত আলী (রঃ) ব্রিকস, মেসার্স মা ব্রিকস ইন্ডাষ্ট্রিজ, মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস।
অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব গালিব চৌধুরী ও জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক নুর হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় র্যাব -৭, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের টিম আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সার্বিক সহায়তা করেন। এবং ফায়ার সার্ভিস সহোযোগীতায় ছিলেন। আগামীতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত দিনের সময় দেন। আদালতের আদেশে একইসঙ্গে বৈধ ইটাভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার ও কৃষিজমি বা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে।