শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

চন্দনাইশের জামিজুরী বধ্যভূমিতে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড’র উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভয়াল কালো রাত্রি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাত ৯.৩০ মিনিটে চন্দনাইশ উপজেলার একমাত্র বধ্যভূমি দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী বধ্যভূমিতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড’র উদ্যোগে শহীদ স্মরনে বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ হোসেন ও চন্দনাইশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের পক্ষে কমান্ডার জাফর আলী হিরু পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আই.সি পরিদর্শক মো. আব্দুল হালিম, দোহাজারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র, প্রধান শিক্ষক বিষ্ণু যশা চক্রবর্তী, দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগ যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলী, সাংবাদিক এম.এ হামিদ, শহীদ ডাঃ বগলা প্রসাদ ভট্টাচার্যের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুশীল কান্তি ভট্টাচার্য, ডা. সুনীল কান্তি ভট্টাচার্য, পুলিশ উপপরিদর্শক মো. আরিফউজ্জামান খান, শিক্ষক রুপস চক্রবর্তী, রূপক ঘোষ, প্রবীন দাশ সুমন, রনজিত দাশ, দোহাজারী পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা কামাল হোসেন প্রমূখ। এর আগে সূর্যাস্তের সাথে সাথে শহীদ স্মরনে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের আগে শহীদ ডাঃ বগলা প্রসাদ ভট্টাচার্যের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুশীল কান্তি ভট্টাচার্য নারকীয় সেই হত্যাকান্ডের স্মৃতিচারণ করেন।

প্রসঙ্গতঃ ১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল, বাংলা ১৩৭৮ সালের ১৪ই বৈশাখ পাক হানাদার বাহিনী তৎকালিন পটিয়া (বর্তমানে চন্দনাইশ) থানার দোহাজারী’র জামিজুরী গ্রামে নারকীয় তান্ডবলীলা চালিয়ে ১৩ জন নিরপরাধ নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। এতে শহীদ হন ডাঃ বগলা প্রসাদ ভট্টাচার্য, কবিরাজ তারাচরণ ভট্টাচার্য, মাষ্টার প্রফুল্ল রঞ্জন ভট্টাচার্য, মাষ্টার মিলন ভট্টাচার্য, বিশ্বেশ্বর ভট্টাচার্য, রেনু বালা ভট্টাচার্য, ডাঃ করুনা কুমার চৌধুরী, হরি রঞ্জন মজুমদার, মহেন্দ্র সেন, নগেদ্র ধুপী, রমনী দাশ, অমর চৌধুরী ও মনীদ্র দাশ। স্থানীয় এলাকাবাসী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাশগুলো একত্রিত করে একটি গর্তে সমাধিস্থ করে। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা সুভাস মজুমদার (নলুুুয়া) ও মুক্তিযোদ্ধা বিমল দাশ (আমিরাবাদ) এর দেহাবশেষও এখানে সমাধিস্থ করা হয়। স্বাধীনতার পর স্থানীয় ক’জন প্রগতিশীল তরুণের অক্লান্ত পরিশ্রমে সমাধিস্থলে গড়ে তোলা হয় বধ্যভূমি। স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, দীর্ঘদিন অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকার পর ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ তৎকালীন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ রহিম জামিজুরী বধ্যভূমির ফলক উম্মোচন করেন। এরপর ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে বধ্যভূমি স্থলে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে দেয়া হয়।