আজ ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
মোঃসোহেল,আনোয়ারা প্রতিনিধি:
করোনার কারণে জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। করোনা রোধে চলাচল ও কাজে নিষেধাজ্ঞায় (লকডাউন) তাদের আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আবার কারও কারও উপার্জন নেমেছে শূন্যের কোঠায়। ফলে নিম্নবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। পরিবার নিয়ে শুধু খেয়ে বেঁচে থাকাই এখন তাদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।অাজ মঙ্গলবার খেটে খাওয়া নানা পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১১টা পর্যন্ত লকডাউন দিয়েছে সরকার। এ সময় শুধু জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকবে।
সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকেই সরকারি নিষেধাজ্ঞায় শপিংমল সহ গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে রাস্তায় ব্যক্তিগত যানবাহনের অভাব নেই। রিকশা,ব্যাটারি চালিত রিকশা, সিএনজি ও প্রাইভেট কারসহ নানা ধরনের পরিবহণ রাস্তায় বির্বিঘ্নে চলাচল করছে। আগের তুলনায় রাস্তায় লোকজন অনেকাংশে কম হলেও জরুরি প্রয়োজনে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। আর গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় তারা বাধ্য হয়ে রিকশা, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল কিংবা সিএনজিতে চলাফেরা করছেন। ফলে রিকশাচালক কিংবা সিএনজিচালকের মতো খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষও কিছুটা আয়-উপার্জন করতে পারছেন। তবে স্বাভাবিক সময়ে তাদের যা আয় হতো, বর্তমানে নিষেধাজ্ঞায় তা অর্ধেকে নেমেছে।
রিকশাচালক আকরাম হোসেন বলেন, রাস্তায় তেমন যাত্রী নেই। যাত্রী পেলেও ন্যায্য ভাড়া পাওয়া যায় না। কম ভাড়াতেই যাত্রীদের নিতে হয়। কী আর করব, লকডাউনের জন্য রাস্তায় লোক নেই। প্রতিদিনের জমা খরচ বাদে দু-শ টাকা আয় হলেই খুশি। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ছয়জনের পরিবার। যাত্রী না-পেলে না-খেয়ে থাকতে হবেএকই অবস্থা সিএনজিচালকদের।
সিএনজিচালক মিজান বলেন, ‘গাড়ির জমা-খরচ আগের মতোই আছে। কিন্তু আমাদের ইনকাম আর আগের মতো নাই। জমা খরচ দেওয়ার পর দিনে তেমন কিছুই থাকে না। তবুও নিরুপায় হয়ে গাড়ি চালাতে হয়। লকডাউন থাকায় ইনকাম আগের চেয়ে অন্তত অর্ধেক কমেছে। তবে অল্প হলেও যাত্রী পাচ্ছি। মালিকের জমা খরচ মিটিয়ে দিনে এখন চার-পাঁচশ টাকা ইনকাম করতে পারলেই খুশি।’ লকডাউন প্রসঙ্গে এ চালক আরও বলেন, এটা কোনো লকডাউন হলো? কোথায় কোনো ব্যারিকেড নেই, চেকপোস্ট নেই। স্বাধীনমতো চলাফেরা করা যাচ্ছে। শুধু বাস চলাচল বন্ধ আরকি।
শাহি টেইলার্সের মালিক মোঃ নছির বলেন আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কয়েকলাখ টাকার কাপড়চোপড় এনেছি দোকানে ১০ জনের মত কর্মচারী রয়েছে এই লকডাউনে দোকান বন্ধ করে রাখছি সরকার চাইলে অামরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান করতে পারব তা না হলে অামরা না খেয়ে মরব।এখন তো আয় বন্ধ। বড় কষ্টে আছি। দেখার কেউ নেই। কোনোমতে দিন কেটে যাচ্ছে আরকি।
কাপড়ের দোকানি বেলাল বলেন, কিস্তি নিয়ে দোকানে মাল তুলছি লকডাউনে দোকান বন্ধ কি করব বুজতেছিনা।
চা দোকানদার শাহেদ বলেন পরিবারের বড় সন্তান অামি বাবার পাশাপাশি অামিও সংসারের হাল ধরছি লকডাউনে অামার দোকান বন্ধ রাখার কারনে খুব কষ্টে অাছি রয়েছে সাপ্তাহিক কিস্তি ব্যবসা না হলে কেমনে চলব বলেন