আরিফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি:
মাটির রাস্তায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট ইটের সলিং বসাতে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ও মাটি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজ নগর ইউনিয়নের তামীরে মিল্লাত মাদ্রাসা সংলগ্ন – সন্দীপ পাড়া হয়ে গজালিয়া সড়ক পর্যন্ত এলাকায় চলাচলের রাস্তায় -এ কাজ চলছে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও নির্বাক কর্তৃপক্ষ। ফলে,এ সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার কাজে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিম্নমানের। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে বালির পরিবর্তে মাটি।
স্থানীয়রা এসব দিয়ে রাস্তার কাজ করতে নিষেধ করলেও, ঠিকাদারের শ্রমিকরা তা শুনছেন না।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তাটি ভিজে পিচল হয়ে যাবে, এতে করে গাড়ি তো দূরের কথা লোকজন হেঁটেও চলাচল করতে পারবে না – তাহলে রাস্তাটি করে লাভ কি- উল্টো প্রশ্ন করেন স্থানীয় সাধারণ জনগণ।
বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত রাস্তাটির মান ভালো না হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, তামীরে মিল্লাত মাদ্রাসা সংলগ্ন – সন্দীপ পাড়া হয়ে গজালিয়া সড়ক পর্যন্ত ২৪০০ মিটার রাস্তাটি পাকাকরণের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকাদার রাকিব।
অভিযোগ আছে, রাস্তাটি নির্মাণকাজের শুরু থেকেই অনিয়ম চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট ও বালির পরিবর্তে মাটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিস্ত্রী বলেন, রাস্তাটি যে ইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে, তা কোনো নাম্বারের মধ্যেই পড়ে না। শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট-বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন ঠিকাদার।
স্থানীয়রা আরো বলেন, নিম্নমানের ইট ও বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি করার কাজ দুই -একদিন আগে শুরু হয়েছে। ইটের বুনন ফাঁকা ফাঁকা। রাস্তায় এক নাম্বার ইট বসানোর কথা থাকলেও,দেওয়া হচ্ছে নাম্বারবিহীন ইট। পিওর বালির পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মাটি। বালি দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে মাটি। এভাবে রাস্তা নির্মাণ করা হলে, তা বেশিদিন টিকবে না।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা আরো জানান সন্দীপ পাড়া রাস্তা নির্মাণের পাশেই রয়েছে পাহাড়, আর সেই পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে বালি হিসেবে।
এছাড়া স্থানীয়রা আরো জানান, প্রথমত রাস্তা সমতল করে বালি দিয়ে তারপর বিছানো হয় ইট, তারপর এর ওপরে দেওয়া হয় বালি, কিন্তু এখানে দেখা যায় তার বিপরীত মাটি গুলো হালকা সমতল করে তার ওপরেই ইট বিছিয়ে কোন ধরনের বালি না দিয়েই সোজা দেওয়া হচ্ছে পাহাড়ের মাটি।
এ বিষয় জানতে ঠিকাদার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ইঞ্জিনিয়ার বলেন, রাস্তার কাজের মান খুব খারাপ বলে, আমি তা বন্ধ করে দিতে বলেছি। বৃহস্পতিবার (২৭জুন) সকাল ১০ ঘটিকার সময় রাস্তার কাজ খারাপ হচ্ছে খবর পেয়েছি।আমি আপাদত কাজ বন্ধের রাখার জন্য বলেছি। আর আমি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি ওনারা সরজমিনে গিয়ে দেখে আসবেন।