শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

চন্দনাইশ দোহাজারীতে গৃহহীনদের জন্য নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন করলেন ইউএনও সাদিয়া

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি: “মুজিব শতবর্ষ “উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় ০.৮০ একর যায়গার ওপর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ২২টি গৃহনির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিপূর্বে বৈলতলী ইউনিয়নের বশরতনগর মৌজায় ০.৭০ একর জমির ওপর ২৯ টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী ২০ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গুণগত মাণ ঠিক রেখে কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দফায় দফায় তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম। এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল গ্রামে প্রকল্প এলাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ কাজের শেষ মুহুর্তের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন তিনি। পরিদর্শনের সময় প্রত্যেকটি ঘর ঘুরে ঘুরে দেখার পাশাপাশি নির্মাণ শ্রমিকদের সাথেও কথা বলেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘর হস্তান্তরের জন্য শ্রমিকদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
এসময় চন্দনাইশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, দোহাজারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জমির উদ্দিন, সাংবাদিক আবিদুর রহমান বাবুল, উপজেলা পরিষদ সদস্য রাজিয়া সুলতানা রাজু উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম বলেন, “ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সফলতার কারনে আজ আশ্রয়হীন পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে যাচ্ছেন। ঘরগুলো নির্মাণে যেন কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে এবং নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয় সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি।
বর্তমান সরকারের শাসনামলে একটি মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঘরবাড়ি নেই ও ভূমিহীন এমন পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসের সুযোগ লাভ করবেন। এক্ষেত্রে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন উৎপাদনমুখী ও আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহারিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে সবাই যাতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে জন্য দেওয়া হবে ক্ষুদ্রঋণ।