আজ ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
মো. এরশাদ আলম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রাম (১৫) সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী’র আন্তরিক সহযোগিতায় লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন সার্বিক উন্নয়নে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি’র সুযোগ্য চেয়ারম্যান মাস্টার শফিকুর রহমান।
গত ২৩ জুন বিকেলে চরম্বায় বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গেলে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ওই সময় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী’র আন্তরিক সহযোগিতায় তিনি ইউনিয়নের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।
পাশাপাশি এ’উন্নয়ন কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণও।
উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিশেষ দিকগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর আমলে এ’পর্যন্ত ১০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৭ টি ব্রীজ নির্মাণ, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অপর ২ টি ব্রীজ নির্মাণ, কালভার্ট স্থাপন ২০ টি। এ’ছাড়া ২০ টি গভীর নলকূপ, ২শ পরিবার ও ৪৫ টি মসজিদ-মন্দির সোলার বিতরণ, ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫ স্থানে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ, গৃহহীন ৪৮ পরিবারের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা, ৬/৭ কিঃমিঃ পাহাড়ি মেটো পথ সংস্কার করে রাস্তা নির্মাণ। ১০ টি পুকুরে ঘাট নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন আসবাপত্র সরবরাহসহ আরো বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়নের কথা তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা,চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ ও মাদকমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তিনি সকল মেম্বার ও চৌকিদার নিয়ে সদায় সতর্ক আছেন।
চেয়ারম্যান হিসেবে ৫ বছরে আপনি মানুষের কতটুক ভালবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন? এবং আগামীতে জণগন আপনাকে আবারো ক্ষমতায় পেতে চাচ্ছে কিনা?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। নএলাকা ছেড়ে কোথাও যায়নি।
দিনরাত চরম্বার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। যার যখন দরকার হয়েছে তখনই আমাকে কাছে পেয়েছে। খুবই আন্তরিকতার সাথে মানুষের পাশে ছিলাম, এলাকার সর্বস্তরের মানুষও বিগতদিনে আমার পাশে ছিলো, এখনও আছে। তাঁরা অবশ্যয় তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করবে।
তিনি বলেন, বড়লোক আর গরীব আমার কাছে সবাই সমান। যেকোনো বিচার নিরপেক্ষভাবে সমাধান করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যেন এলাকার মানুষকে বার বার পরিষদে এসে হয়রানী হতে না হয় এবং পরিষদের যাবতীয় সেবা সঠিকভাবে জণগনের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র হাতকে আরো শক্তিশালী করতে এবং ইউনিয়নের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে
সকলের দোয়াও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।