আজ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান,কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গায় প্যারাবন কেটে ও নদীর চর ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে পুনর্বাসন কেন্দ্র (বেজা) কর্তৃক সোনাদিয়ায় উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণ করার সুবাদে ঘটিভাঙ্গায় নির্মাণ হচ্ছে এই পুনর্বাসন কেন্দ্র। সোনাদিয়ায় বসবাসরত পরিবারগুলোর জন্য এই পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে ৷
তার একই পাশে বিশাল প্যারাবন কেটে ও নদীর চর দখল করে সাইনবোর্ড দিয়ে লাল পতাকা গেড়ে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের কথিত মৎস্যজীবী সমিতি ওরফে গাঁজা কমিটি ৷
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই কথিত মৎস্যজীবী সমিতি প্রকাশ গাজা কমিটি স্থানীয় ফরেস্ট বিট ও প্রশাসনের বড় কর্তাদের সাথে অর্থের বিনিময়ে তারা প্যারাবন কেটে এবং নদীর চর দখল করে অবৈধভাবে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে বলে জানালেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে গাজা কমিটির দখলকৃত মাছের গোদা তথা ঘেরটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করত ৷ ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট, ভূমি অফিস প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে ঘটিভাঙ্গা ব্রীজের পুর্ব পাশে প্যারাবন কেটে এবং নদীর চরে লাল পতাকা ও মৎস সমিতির সাইনবোর্ড দিয়ে দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু গাঁজা সেবনকারীর (গাঁজা কমিটির) বিরুদ্ধে।
উক্ত মৎস্য কমিটির সভাপতি সভাপতি ঘঢিভাঙ্গার ইয়াকুব আলীর পুত্র আব্দুল জলিল, সেক্রেটারী জায়রুর পুত্র জাফর আলম, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে আব্দু শুক্কুরের পুত্র ফরহাদ, পশ্চিম পাড়ার মৃত ইমন আলীর পুত্র আব্দু ছালাম, সোনাদিয়ার মৃত খলিলের পুত্র সুলতান, ঘড়িভাঙ্গা বশির মিস্ত্রী, পুর্বপাড়ার মৃত আক্কল আলীর পুত্র রহিম, মৃত আলী চানের পুত্র আমান উল্লাহ এ ৮০ একর জমি দখলে নেওয়ার জন্য সহযোগিতা করছে বলে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ৷
নির্বিচারে এসব প্যারাবন কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা হলেও অদৃশ্য কারনে বন কর্মীরা নিরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ঘটিভাংগায় বিটে দায়িত্বরত হামিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে তিনি জানেন না সে ঢাকায় রয়েছে অফিসিয়াল কাজে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা’র) একটি টিম ২৯ জুন সকালে ঘটিভাঙ্গায় সরজমিন পরিদর্শনে গেলে এসব চিত্র দেখা যায় বলে সুত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে বাপা’র ইঞ্জিনিয়ারিং সাইটের দায়িত্বরত জুবায়ের ও নাজমুলের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন তার ইঞ্জিনিয়ারিং সাইট দেখাশোনা করেন।
প্যারাবন ধ্বংসকারী এবং অবৈধ ভাবে নদীর চর দখলকারী ও নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন কারীর বিরুদ্ধ অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানাই এলাকার স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ ৷