আজ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সোহেল.আনোয়ারা প্রতিনিধি:
আনোয়ারা উপজেলার পশুরহাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা-ইজারাদার কেউই মানছেননা স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক নেই অধিকাংশ মানুষের। সবকটি বাজারে উপচে পড়ছে মানুষের ভীড়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে পশুর বাজার বসানোর কথা থাকলেও তার ছিটেফোঁটাও মানতে দেখা যায়নি আনোয়ারায় আজকে বিভিন্ন পশুরহাটগুলোতে। এতে করে আনোয়ারা উপজেলায় করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিকালে সরেজমিন সরকার হাট ও বটতলী রুস্তমহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা, বিক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। বাজারের ইজারাদারদের মুখেও মাস্ক নেই। সরকারহাট পশুর বাজারে হাজারো মানুষের ভীড়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। সরকার হাট পশুর বাজারে সড়কের উপর এলোমেলোভাবে গাড়ীতে গরু উঠানামা করানোর ফলে আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কে দীর্ঘ তিন কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। বাজারের ইজারাদারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক না থাকার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
আনোয়ারা থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানজট থামাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। আগামী সোমবার আবারো বসবে এই দুই পশুর হাট। এভাবে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চললে এই দিনে আরো তীব্র যানজট সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন একাধিক যাত্রী। তাছাড়া বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে আরো সচেতন করা না গেলে পরবর্তীতে এর প্রভাব প্রকট আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে বাজারের ইজারাদার জয়নাল আবেদীন হেলাল বলেন, কোরবানীর পশুর বাজার। এখানে একটু ঝামেলা তো হবেই। সড়কে যানজট নিরসনে পুলিশের পাশাপাশি আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে।
আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য পুলিশ সজাগ রয়েছে।