শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

টুং-টাং শব্দে মুখরিত বাঁশখালীর কামার পল্লী

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১

মোহাম্মদ এরশাদ, বিশেষ প্রতিনিধি:
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামাররা। কাজের চাপে নিঃশ্বাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। দিনরাত টুং-টাং শব্দে মুখরিত উপজেলার হাট-বাজার ও কামার পল্লী। কৃত্রিম বাতাসে জ্বলে উঠছে আগুন, আর সেই আগুনে তৈরি করা হচ্ছে দা, বঁটি, ছোরা, চাকু, চাপাতি, কুড়ালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।

উপজেলার রামদাস মুন্সি হাট, বৈলছড়ি  বাজার, চাঁদপুর বাজার, বাণীগ্রাম বাজার, বশিউল্লা মিয়াজি বাজার, মোশাররফ আলী মিয়া বাজার, পৌরসভার, টাইম বাজার, চাম্বল বাজার, প্রেম বাজার, সরলিয়া বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। ইতোমধ্যে ক্রেতারাও কিনছেন এসব সরঞ্জাম। প্রতিটি তৈরি করা ছোট ছুরি ১শ টাকা, দা ৩শ থেকে ৫শ টাকা, বঁটি ২শ থেকে ৩শ টাকা, চাপাতি ২শ থেকে ৩শ ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

কামার দিলীপ দাশ জানান, আগে হাতে বানানো কৃষি যন্ত্রপাতির কদর ছিল। তাই সারা বছর কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে হতো। কিন্তু এখন মেশিনে বানানো যন্ত্রপাতির কদর বেড়েছে। ফলে এখন সারাবছর হাতে তেমন কাজ থাকে না। তবে কোরবানির ঈদের আগে কাজ কিছুটা বাড়ে।

কামার সুখেন্দু দাশ ও মিন্টু দাশ জানান, এখন চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়। ফলে দেশি যন্ত্রপাতির চাহিদা কমেছে। তাই সারা বছর অভাব অনাটনের মধ্য দিয়ে কামারদের জীবন কাটে। কিন্তু প্রতি বছর ঈদুল আজহার এই এক দেড় মাস কাজের ব্যস্ততা বাড়ে।

কামার সুজিত দাশ জানান, নিত্য নতুন ডিজাইনের যন্ত্রপাতি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে মানুষ হাতে তৈরি যন্ত্রপাতি পছন্দ করছে না। কিন্তু বাপ-দাদার পেশা হওয়ায় অনেকে এটাকে আঁকড়ে ধরে আছেন। তবে নতুন প্রজন্ম এ পেশার প্রতি খুব উদাসীন। ফলে এক সময় এ পেশা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।