শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

বাঁশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ভাংচূর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ী ইউনিয়ন প্রেম বাজার এলাকায় মরহুম মাষ্টার ছৈয়দুল হকের ছেলে নাজমুল হক মুরাদের মুদির দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ১৬ জুলাই শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আনুমানিক ভোর ৫ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে দোকান মালিক মরহুম মাষ্টার ছৈয়দুল হকের ছেলে নাজমুল হক মুরাদ বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আহমদ কবির ছেলে খালেদ বিন কবির ও হাজী আবদুর রহমান এর ছেলে আহমদ কবিরসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দোকান মালিক নাজমুল হক মুরাদ ও মামলার আসামীদের মধ্যে ঐ দোকান নিয়ে পূর্বে থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়েছিল। বাদীর ঐ মামলায় আদালত বাদীর ভোগ দখলে যেন বিঘ্নতা সৃষ্টি না ঘটে তার জন্যে আসামীপক্ষকে অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। যাহা এখনো বলবৎ আছে।

স্থানীয় বাজারের দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দোকানটি শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজের পর আনুমানিক ভোর ৫ টার সময় লুটপাট হয়। লুটপাটে অপরিচিত লোক সহ প্রায় ১০/১৫ জন ছিল। ওরা দোকানের তালা ভেঙ্গে ভাংচূর চালায়। দোকান মালিক পক্ষরা খবর পেয়ে এসে বাঁধা দিলে প্রাণে মেরে ফেলা ও তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় এবং লুটপাটকারী সন্ত্রাসীরা মালামাল ট্রাকে করে ভরে নিয়ে চলে যায়।

দোকান মালিক নাজমুল হক বলেন, দোকান লুটপাটের ঘটনা জানার সাথে সাথে এসে বাঁধা দিলে আমাকে বন্দুক থাক করে হুমকি দেয় এবং মালামাল গাড়ি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পাশে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণা করা ভিডিও ফুটেজ আছে। আমরা কোন উপায় খুজে না পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করিলে বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে যায়। মুদি মালামাল, মুরগী ও ক্যাশ টাকাসহ আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকা পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার জন্য আমি থানায় এজাহার দায়ের করেছি। আমি প্রশাসন এর কাছে ক্ষতিপূরণ সহ উচিত বিচার চাই।

এ বিষয়ে উক্ত ঘটনা তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশখালী থানার এ এস আই ফিরোজ মুটোফোনে বলেন, ৯৯৯ এ কল পাওয়ার পর বাঁশখালী থানার পক্ষ হয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরে জানতে পারলাম একটা দোকান লুটপাট হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমি উভয়পক্ষকে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। যদি ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ বাঁশখালী থানায় অভিযোগ কিংবা এজাহার দিলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলা গ্রহণ করা হবে।