রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

একজন চাষী জহিরের গল্প

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

গল্পের নায়কের কাহিনী ও জীবনদর্শন অতি সাদাসিদে,যা নায়কের ‘চাষা’ উপাধী থেকে সহজেই অনুমেয়।পুরো নাম এস. এম জহিরুল ইসলাম।জন্মগ্রহণ করেছেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলাস্থ ধীতপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ধলিয়া গ্রামে।পিতা মো : সিরাজুল ইসলাম শেখ পেশায় সহজাত কৃষক ও শ্রমজীবি মানুষ,মাতা মোছা : জুলেখা খাতুন গৃহিণী।

ছোটকাল থেকেই বড্ড স্বাধীনচেতা,সংস্কৃতি ও ক্রীড়াপ্রেমী তিনি।ডানপিঠে চাষা জহির বাল্যকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী,তবে পাঠ্যপুস্তকের পাতায় তার মন খুব বেশি দূর মনোনিবিষ্ট ছিলনা।নাহলে হয়তো স্বনামধন্য ধলিয়া বহুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এ কৃতিছাত্র আজ দেশকে অন্যভাবে সেবা দিতে পারতেন।

তার অসাধারণ মেধা,প্রতিভা ও সামাজিক লোকাচারে তার এলাকার সর্বস্তরের মানুষ তাকে ভালবাসেন বলে জানা যায়।নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে সকলের ভালবাসায় গুটি গুটি করে সামাজিক,সাংগঠনিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনে অত্যন্ত দক্ষতার সহিত দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমানে ভালুকা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি-সেবামলক সংগঠন ‘আগামীর স্বপ্ন’ র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

তার বেশ কিছু লেখা বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।সম্পাদনা করেছেন ‘অক্ষরে অক্ষরে ছড়া’ নামক একটি শিশুতোষ বই।

লিখেছেন পাঁচ শতাধিক গান,বিশটির উপর নাটক ও কিছু সমাজ সচেতনতামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।তার পরিচালিত নাটক ‘ক্ষিরু গাঙ্গের নাইয়্যা’ এবং তার কথা ও সুরে কয়েকটি গান বেশ সমাদৃত হয়েছে।তিনিই এদেশে প্রথম ব্যক্তি,যিনি নিজের গ্রামকে নিয়ে অনবদ্য পুঁথিগান করেছেন।গ্রামের শিক্ষা বিস্তারেও রয়েছে তার ভূমিকা।

তরুণ গীতিকার,সংগঠক,সাংবাদিক ও নাট্যনির্মাতা চাষা জহির সবার ভালবাসায় আরো কিছু দূর অগ্রসর হতে চান।বড় পরিসরে কাজ করতে চান দেশ,জাতি ও সমাজ নিয়ে।

নিরহংকার এ মানুষটি এলাকার আপামর জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত একজন ব্যক্তি।কি লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি,জানতে চাইলে জানান-“আমি কাজ করে যাচ্ছি,করে যেতে চাই।বিধাতা কোন ক্ষেত্রে আমাকে দেখতে চান,তা তিনিই নির্ধারন করে রেখেছেন।ক্ষেতে,দোকানে,সংস্কৃতি না জনসেবায় আমাকে টিকাবেন,সেটা বিধাতার ইচ্ছা।আপাতত লক্ষ্য জানানো যাচ্ছেনা।”

সত্যিই চাষা জহিরদের জীবন বড় সংগ্রামের,কন্টকময়।ওরা তাদের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে একদিন হয়তো।এক্ষেত্রে সবার ভালবাসা অগ্রগণ্য,নাহলে হয়তো পরিবর্তনের ধ্বজাধারী চাষা জহিররা মাঝপথে ধমকে গিয়ে নিরাশার দোলাচলে দুলতে থাকবে।