আজ ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আনোয়ারা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার মৎস্য শিকার ফাঁড় নিয়ে মৎস্যজীবিদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ সমাধানে দুই উপজেলার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বুধবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘ আলোচনার পর উভয়পক্ষের যৌথ বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাগরে জাল বসানো একমত পোষণ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী, বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজাহারুল ইসলাম, আনোয়ারা-বাঁশখালী সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদুল হক, উম্মুল ফারাহ বেগম তাসকিয়া, ওসি দিদারুল ইসলাম, শফিউল আলম, নৌ পুলিশ কমকর্তা নাসির উদ্দিন, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম, পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আজিজ চৌধুরী, মৎস্যজীবিদের মধ্যে নুরুল আমিন, মোহাম্মদ ফোরকান, শওকত হোসেন বাবু, জয়নাল আবেদীন, আবুল ফয়েজ, মো. সেলিম ও দীল মোহাম্মদ।
সূত্রে জানা যায়, সাগরে মৎস্য শিকার ফাঁড়ে জাল বসানোকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলার মৎস্যজীবিরা বিভিন্ন সময়ে দু’পক্ষের মারধরের ঘটনাও ঘটে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের অভিযোগে থানায় মামলাও হয়। দীর্ঘ বিরাজমান সৃষ্ট সমস্যা সমাধান, উত্তেজনা প্রসমিত ও সাগরের জাল বসানোর সীমানা নির্ধারণ করার জন্য আনোয়ারা-বাঁশখালীর উপজেলা প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মৎস্যজীবিদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বুধবার বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে দুই উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), সহকারী পুলিশ সুপার, স্থানীয় চেয়ারম্যান নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে আগামী ১৫ নভেম্বর নৌ পুলিশের সহযোগিতায় সাগরে মৎস্য ফাঁদ পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও ৩০০ মিটারের মধ্যে কোন পক্ষ ফাঁড় না বসানোরও সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
বৈঠক শেষে আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, আজকের পর থেকে কোন পক্ষ মৎস্য ফাঁড় নিয়ে বিরোধে জড়াতে পারবেনা। দুই উপজেলার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সব ধরণের সমস্যা সমাধান করতে হবে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষকে মেনে চলতে হবে।