আজ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
মো.নুরুল আলমঃ চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাতলে রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবা দিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী।
হাসপাতালের পরিচালক ক্যাপ্টেন ডা. খায়েরউদ্দিন বরকতের (অব.) সভাপতিত্বে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরীন আহমদ হাসনাইন, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি উপাচার্য ড. এফ.এম. আওরঙ্গজেব, চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. শাহীন হোসাইন চৌধুরী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার এ.এফ.এম. আখতারুজ্জামান কায়সার, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন, কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. আফতার-ই-দ্বীন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. রওশন আক্তার, এনেসথেসিওলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুর আলম, আবাসিক সার্জন (সার্জারী) ডা. এস.এম. বকতিয়ার শহীদ, আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন) ডা. অর্পন দেবনাথ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাউদ্দিন শাহরিয়ার, বিজিসি ট্রাস্ট একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন, এজিএম (পিএন্ডএল) মো. মিজানুর রহমান, ম্যানেজার মো. এরশাদ হোসেন, ম্যানেজার (অপারেশন্স) আজিজুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতাল থেকে অক্সিজেনের অভাবে আগে রোগীদের চট্টগ্রামে নিয়ে যেতে হতো। দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী চন্দনাইশে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের ফলে এখন আর রোগীদের চট্টগ্রাম শহর কিংবা অন্য জায়গায় ছুঁটতে হবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও আশা করি আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা অব্যাহত রাখবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, এর আগে হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবা ও সিলিন্ডার অক্সিজেন সেবা চালু থাকলেও রোগীর চাপ বাড়ায় তা দিয়ে রোগীর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এটি চালু হওয়ায় আইসিইউ, সিসিইউসহ কভিড ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া সব রোগীর শয্যায় নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করা যাবে। ফলে সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের চট্টগ্রাম শহর বা ঢাকার নেয়ার তাগাদা কিছুটা কমবে। কোভিড-১৯ হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখন থেকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের কোনো রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্টের জন্য ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না।
হাসপাতালের পরিচালক ক্যাপ্টেন ডা. খায়েরউদ্দিন বরকত (অব.) জানান, এ অক্সিজেন সিস্টেমটি চালু হওয়ায় রোগীরা আর অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পাবেন না। সময় মতো সব রোগীকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। হাসপাতালের প্রতিটা রোগীর শয্যার পাশে অক্সিজেনের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে রোগীরা সময়মতো নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবা পাবে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত, কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), ডায়ালাইসিস ইউনিট ও অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স রোগীদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহসহ সকল রোগীকে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে অক্সিজেনের স্বল্পতা। হাসপাতালে থাকা অক্সিজেনের সিলিন্ডারগুলো থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন দিয়ে করোনা রোগীসহ জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম শহর বা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন নেওয়া হচ্ছে কয়েকশ’ রোগীকে। এ সেন্ট্রাল অক্সিজেন
সিস্টেমটি হওয়ায় রোগীদের আর অন্য হাসপাতালে পাঠাতে হবে না।
অনুষ্ঠান শেষে সিভিল সার্জন সবাইকে নিয়ে করোনারী কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), ডায়ালাইসিস ইউনিট, অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স, বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন।