আনোয়ারা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর জুলধা ইউনিয়নের পাইপের ঘোড়া এলাকার বাহার বাড়িতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী ও স্কুল শিক্ষিকাসহ ৮ জন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. ইলিয়াছ (৫৭), স্কুল শিক্ষিকা সুমি আকতার (২২), মোহাম্মদ রুবেল (৩০), জরিনা খাতুন (৫০)সহ উভয় পক্ষের ৮ জন গুরুতরভাবে আহত হয়।
উভয় পক্ষই জানায়, সম্প্রতি র্যাব কর্তৃক অস্ত্রসহ কয়েক কিশোরকে আটক করে। ওই কিশোর গ্যাংকে মনির পক্ষ র্যাবকে তথ্য দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছিলেন বলে প্রচার করেন মোহাম্মদ ইলিয়াছ গং। এলাকায় ওই অপপ্রচার করাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনার সূত্র বলে জানা যায়। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষই কর্ণফুলী থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি র্যাব-৭ কর্ণফুলী উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় একটি দেশীয় অস্ত্র, ৫ রাউন্ড গুলি ও চাকু উদ্ধার করে র্যাব। এদিকে অস্ত্রসহ আটকের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ সোহেলের পরিবারের দাবি তার ছেলেকে পূর্ব শত্রুতার জেরে র্যাব দিয়ে আটক করানো হয়েছে। এ বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে সোহেলের পরিবার এলাকায় অপপ্রচার করায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
মোহাম্মদ রুবেল জানায়, তার ভাই সোহেলকে প্রতিপক্ষ র্যাব দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেন ষড়যন্ত্র করে এটা আমরা নিশ্চিত। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুনরায় তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের বসতঘরে ঢুকে ধারালো দেশিও অস্ত্র, দা-ছুরি নিয়ে আমার মা, স্কুল শিক্ষিকা বোন ও এক ভাইসহ আমাকে মারধর করে।
আবদুর শুক্কুরের পুত্র মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভূমি বিরোধ চলছিলো তাদের সাথে। কিছুদিন ধরে এলাকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে সোহেলকে নাকি আমরা ধরিয়ে দিয়েছি। এটার জের ধরে তারাই আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমার ভাই সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় (২০), দেলোয়ার হোসেন (২৫), ও আমার মা খুরশিদা বেগম (৪৮) মারধর করে। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছি।
কর্ণফুলী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।