রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৯

আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম থেকে, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে সাত নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে করনীয়-

১। দুর্যোগের খবর শুনে আতঙ্কিত না হওয়া:
নেটওয়ার্ক ডিজেবল হতে পারে তাই রেডিও এবং টিভিতে ভেরিফাইড নিউজ পাবেন। বিপদে শান্ত থেকে সমাধানের চেষ্টা করাই আসল কাজ।

২। চার্জ দেওয়া:
পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট, টর্চ লাইট এ চার্জ ফুল রাখুন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় আইলার জন্য ১ দিনের বেশি বিদ্যুৎ, গ্যাস, মোবাইল ফোন এর সার্ভিস পাওয়া যায়নি। শহরে আছি বলে কিছু হবে না, এমন মনে করা বোকামি। ব্যাকআপ হিসেবে মোমবাতি এবং লাইটার রাখা ভালো। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আগুণ সব সময়ই লাস্ট অপশন।

৩। ফার্স্ট এইড বক্স:
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়রিয়া, জ্বর এর জন্য স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।

৪। নিরাপদ আশ্রয়:
বাসা টিন শেড হলে বা নিচ তলায় হলে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ওয়াটারপ্রুফ বক্স এ টেপ এবং পলিথিন পেঁচিয়ে রাখুন। ফ্লোরে মাল্টিপ্লাগ রাখবেন না।

৫। শুকনো খাবার:
নিরাপত্তার জন্য গ্যাস, কারেন্ট, পানি, টেলিফোন লাইন অফ থাকতে পারে। রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখুন।

৬। বাসার রেলিং এর উপর কিছু রাখবেন না:
রেলিং এর উপর ফুলের টব, কনস্ট্রাকশন এর জিনিস ফুলের টব নিরাপদ স্থানে রাখুন। খোলা যায়গায় কনস্ট্রাকশনের জিনিস রাখবেন না। বাসার পাশে নির্মানাধীন ভবন থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে করনীয়:

১। রাস্তায় থাকলে শপিং মল, মসজিদ, স্কুল বা যেকোনো বিল্ডিং এ আশ্রয় নিন। কোনভাবেই খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না।

২। এই সপ্তাহে জ্যামে পড়লে গাড়ির পাশে যায়গা রেখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন যেন বিপদের মুহূর্তে দরজা খোলা যায়।

৩। বিল্ডিং এ কারেন্ট এবং গ্যাস এর মেইন লাইন অফ করে দিন। ৪। দরজা জানালা বন্ধ রাখুন যাতে বাইরে থেকে ময়লা বা ভারী কিছু উড়ে এসে আঘাত করতে না পারে।

৫। টিনশেড বাসা হলে বা নিচু যায়গায় হলে যদি সেইফ মনে না হয়, নিরাপদ কোথাও আশ্রয় নিন।

৬। ফোনে রেডিও শুনতে হবে। ডাটা কানেকশন অন রেখে ফেসবুক স্ক্রল করলে ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হবে, নেটওয়ার্কও বেশি বিজি থাকবে।
৭। কোন ভাবেই ট্যাপের পানি সরাসরি খাওয়া যাবে না। ফুটিয়ে বা ভালো ফিলটার (যেমন পিওর ইট বা RO ফিলটার) ব্যবহার করতে হবে। পাথর ওয়ালা নরমাল ফিলটারে জীবাণু থেকেই যাবে।

৮। খুব বেশি জরুরি না হলে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না। ইলেকট্রিক শক খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

৯। কল করে নেটওয়ার্ক বিজি না রেখে SMS ব্যবহার করে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করুন। ডাটা কানেকশন অফ রাখুন।

সর্বোপরি উদার হওয়ার চেষ্টা করুন। বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করার অপশন থাকলে সাহায্য করুন। নিজে ৫ তলায় থাকলেও নিচতলার ভাড়াটিয়াদের খেয়াল রাখুন। বাসার পাশের টিনশেড এর মানুষকে যায়গা দেওয়া সম্ভব হলে কার্পণ্য করবেন না।

পোস্ট টি নিজের টাইম লাইনে কপি পেস্ট করে সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ করে দিন।

জনসচেতনায় হৃদয়ে চট্টগ্রাম সংবাদ