রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

গণমাধ্যম দিবসকে সপ্তাহে রুপান্তর করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন: বিএমএসএফ

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯

ঢাকা ৩ মে ২০১৯: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসকে গণমাধ্যম সপ্তাহে রুপান্তর করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি করা হয়েছে। দেশে অগনিত সপ্তাহ ও কিছু অপ্রয়োজনীয় দিবসও রয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপন করা হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস, এটি রাষ্ট্রীয় ভাবে পালিত হয়না। বিগত ৩ বছর ধরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সরকারের নিকট এ দাবি তুলে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচী উদযাপন করে আসছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও সমাবেশে বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ এই দাবি করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম দিবস রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপিত হলেও ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশে। ৩ মে গণমাধ্যম দিবসকে মাঝে রেখে ১-৭ মে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সরকারের নিকট জোরালো আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ।
এ বছর তৃতীয়বারের মত দেশে সাংবাদিকদের এই গণমাধ্যম সপ্তাহটি উদযাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা সপ্তাহটি উদযাপন করে যাচ্ছেন।
সপ্তাহটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আগামি ২২ জুন কেন্দ্রীয় সমাবেশেরও ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। গত ১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণমাধ্যম সপ্তাহের উদ্বোধণী র‌্যালী ও সমাবেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়। প্রতিবছরের ন্যায় ৭ তারিখে কেন্দ্রীয় সমাবেশ নির্ধারিত থাকলে এ বছর মাহে রমযানের কারনে তারিখ পরিবর্তণ করা হয়েছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব আবুল বাসার মজুমদার, বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক পিনাকি দাস, মানবাধিকার সম্পাদক মোনালিসা মৌ, কেরানীগঞ্জ শাখা কমিটির সদস্যসচিব বেলায়েত হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুম তালুকদার, ঢাকা জেলার সহ-সম্পাদক আনিস মাহমুদ লিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর তালুকদার, উপ-প্রচার সম্পাদক কৌশিক আহমেদ সোহাগ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করে বলেন, দেশে শিক্ষা দিবস, কৃষি দিবস, মৎস দিবস, স্বাস্থ্য দিবস, শিশু দিবস, পুষ্টি দিবস, শুল্ক দিবস, পথ শিশু দিবস, কুষ্ঠ দিবস,জলাভুমি দিবস, মাতৃভাষা দিবস, স্কাউট দিবস, নারী দিবস, আবহাওয়া দিবস, যক্ষ্মা দিবস,নাট্য দিবস, ধরিত্রী দিবস, পাখি দিবস, কবুতর দিবস, জনসংখ্যা দিবস, ডাক দিবস, স্বাক্ষরতা দিবস, প্রাণী দিবস, যুব দিবস, প্রবীণ দিবস, ডায়াবেটিস দিবস, এইডস দিবসসহ রয়েছে হাত-পা দোয়া দিবসও। এছাড়া দেশে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের যেমন: শিক্ষা সপ্তাহ, স্বাস্থ্য সপ্তাহ, কৃষি সপ্তাহ, মৎস্য সপ্তাহ, পুলিশ সপ্তাহ, পশু সপ্তাহ, পুষ্টি সপ্তাহসহ বিভিন্ন সপ্তাহ ও অগনিত দিবস রয়েছে। কিন্তু একমাত্র গণমাধ্যম অঙ্গনে কোন সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী নেই। এসবের বেশির ভাগ দিবস সরকার সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে উদযাপন করে থাকে। কিন্তু গণমাধ্যম রাষ্ট্রের ৪র্থস্তম্ভ হওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কারো মাথা ব্যথা নেই।
বিগত ৩ বছর ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট সপ্তাহটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা স্মারকলিপি পাঠানো হচ্ছে।
সাংবাদিকদের অধিকার, কল্যান ও পেশার মর্যাদা রক্ষায় বিএমএসএফ গত ৭ বছর ধরে কাজ করছে। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে লিফলেট বিতরণ, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস, প্রশিক্ষন, গণমাধ্যম বিষয়ক রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা।