শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

ভারতে আঘাত হানায় ঘূর্ণিঝড় ফণী দূর্বল হয়ে সকাল ১১-১২ দিকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৪ মে, ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার মধ্যরাতে আঘাত হানার কথা থাকলেও শনিবার সকালে ফণী বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার সকাল ১১ থেকে বেলা ১২ টার দিকে আঘাত হানতে পারে।

শুক্রবার মধ্যরাতে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, ঘূণিঝড় ফনি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নয়, দেশেল মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এটি সাতক্ষীরার উত্তর দিয়ে যশোর, ঝিনাইদহ, রাশশাহী ও ময়মনসিংহের দক্ষিণ দিয়ে চলে যেতে পারে। এসব এলাকায় প্রবল বাতাস হতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে আসার পথে আরও দুর্বল হয়ে এই ঘূর্ণিঝড় শনিবার সকাল ১১-১২ টার মধ্যে বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।

ভারতের ওড়িশার উপকূলে উঠে আসার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে ফণী দুর্বল হয়েছে অনেকটা, ‘অতি প্রবল’ থেকে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এটি।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এর আগে শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অধিদফতরের কার্যালয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, হ্যারিকেনের গতি সম্পন্ন ভয়াল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করছে। এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে শুক্রবার মধ্য রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে।

এতে আরও বলা হয়, ভারতের ওড়িশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উপকূলীয় ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার মধ্য রাত থেকে আগামীকাল শনিবার সকাল এর মধ্যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

আর সন্ধ্যা ৬টার দিকে অধিদফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফণী মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে সবচেয়ে কম দূরত্বে অবস্থান করছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। তবে রাত ১০টার বুলেটিনে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান জানানো হয়নি।

তবে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রর ৬৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এদিকে উপকূলীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছে। প্রবল শক্তিশালী ‘ফণী’র ছোবল থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে। আবহাওয়ার অবনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে থাকেন মানুষ।

উপকূলীয় জেলাগুলোর মানুষের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। নদীতে দেড় থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে। আইলার প্রাক্কালে যেমন তীব্র গরম অনুভব হয়েছিল, তেমনি মনে হচ্ছে। আর অমাবস্যার সময় হওয়ায় তারা বাঁধে ভাঙন ও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।