রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

রাঙ্গুনিয়ায় খুন, ডাকাতি সহ ১০ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৪ মে, ২০১৯

রাঙ্গুনীয়া প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গুনিয়ায় খুন, ডাকাতি, অস্ত্র, নারী নির্যাতন সহ ১০ মামলার সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ মে) বিকালে গোপন সংবাদে চট্টগ্রাম শহর থেকে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার নাম মো. সেলিম (৪২) ওরপে বাইট্টা সেলিম। সে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের জঙ্গল পোমরা এলাকার শামসুল হুদার পুত্র এবং আন্ত:জেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য বলে জানা যায়। শনিবার (৪ মে) সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি লালানগর, ইসলামপুরে হওয়া সব ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে সেলিম।
রাঙ্গুনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাঈল হোসেন জুয়েল জানান, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনায় আসামী ধরতে গিয়ে ধরা পড়ে ডাকাত সেলিম। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে শুক্রবার (৩ মে) বিকালে মোবাইল ট্রেকিং করে চট্টগ্রাম শহরের কাপ্তাই বাসথার্মিনাল এলাকা থেকে রিক্সা চালানো অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। পরে তারা কিভাবে ডাকাতি করেছে তার স্বীকারুক্তি দেয় সে। সে জানায়, ভাড়ায় ডাকাতি করতে যায় সে। ইসলামপুরে ডাকাতি করতে হবে বলে গত ৪ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ফোন পায় সে। ফোন পেয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকা থেকে তার অন্যান্য সহযোগী সহ সিএনজি অটোরিকশা করে রাঙ্গুনিয়ার আলমশাহ পাড়া একটি ঘরে আসে। সেখান থেকে ডাকাতির জন্য আনা অস্ত্র ও কিরিচ নিয়ে ঘাগড়া খিলমোগল খাল পাড়ে বসে ডাকাত সদস্যদের মাঝে তা বন্টন করে এবং কে কিভাবে ডাকাতি কাজে অংশ নেবে তা বুঝিয়ে দেয়। এরপর সেখান থেকে রাত ১টার দিকে ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের সাইর মোহাম্মদ পাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম আবদুল সত্তার মেম্বারের ঘরের সামনে যায়। বাড়ির গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে সে সহ ১১ জন ডাকাত। ডাকাতি শেষে তারা পাশের একটি বিলে চলে যায় এবং ডাকাতি করা সম্পদ ভাগাভাগি করে। এই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে পুলিশ রাতেই আলমশাহপাড়া, ইসলামপুর সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করা হয়।’
রাঙ্গুনিয়ার থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সেলিম একজন পেষাদার ডাকাত। ২০১৪ সালে ইছাখালী এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে তাকে দেখে চিনে ফেলায় সিএনজি অটোরিক্সা চালককে গুলি করে হত্যা করেছিল সে। এভাবে ডাকাতি, অস্ত্র, খুনের ঘটনায় ৮টি ও নারী নির্যাতনের ২টি সহ মোট ১০টি মামলায় পরোয়ানা সহ সাজাপ্রাপ্ত আসামী সে। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে ডাকাত সেলিম। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডাকাত দলের বাকী সদস্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।