শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

গরীব অল্প আয় ও বেকারদের জন্য আলাদা ব্যাংক এবং সহজ ঋনদান পদ্ধতি চালু করা সময়ের দাবি

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৫ মে, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সরকারি -বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা দেশটির আয়তন অনুযায়ী নিতান্তই কম নয়।কম নয় ঋনদান খাতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী।আর প্রদানকৃত ঋনের টাকার পরিমানও নেহায়েত কম নয়।

সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকগুলো থেকে চাকুরিজীবি,প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাই মোটা অংকের ঋন নিচ্ছেন।আর এদের অধিকাংশই খেলাপি,ঋন পরিশোধের বেলায় গড়িমসি করে।তবু ব্যাংকগুলোর সুদৃষ্টি ওদেরই দিকে।নিজেদের দেওলিয়াত্বের ঝাল ওরা মিটায় সাধারণের উপর।নানা রকম স্টেটমেন্ট,কাগজপত্রাদি,সিকিউরিটি,গ্যারান্টার ও জামানতের বাহানা দেখায় আমাদের ব্যাংকগুলো।

সাধারণ মানুষ দু’চার লাখ টাকা ঋন পেতে পেতে ফাইলের পর ফাইল চাপা পড়ে,নানা রকম টালবাহানা ও আপত্তি ওদের।শুধু টাকাওয়ালাদের জন্য এদেশের ব্যাংকিং খাত।গরীব,বেকার বা অল্প আয়ের মানুষ যৎসামান্য ঋন পেয়ে যেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করবে,সেখানে ব্যাংকগুলোতে নানা তদবিরের ফুলঝুড়ি টাকাওয়ালাদের জন্যই।

অচিরেই এ অবস্থার নিরসন করা উচিত।গরিব,বেকার ও অল্প আয়ের মানুষদের জন্য সহজশর্তে ঋনের ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি।নচেৎ দেশবাসি এনজিওগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।দু:খজনক হলেও সত্য যে,সরকারের কাছ থেকে এই গাফেল ব্যাংকগুলো নানা পায়তারাই হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন নিচ্ছে।বিপরীতে কর্মসংস্থান খাতে ওদের ভূমিকা শোচনীয় ও নিন্দনীয়।

আশা করি,আমাদের ব্যাংক কর্তাদের সুবুদ্ধির উদয় হবে,সংস্খান হবে গরিবের সহজ ঋনের ,দূর হবে বেকারত্ব এবং সর্বোপরি সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।