রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

রাঙ্গুনিয়ায় ইসলামপুরের ডাকাতি ঘটনায় জড়িত গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৫ মে, ২০১৯

রাঙ্গুনীয়া প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম আবদুস সাত্তারের ঘরে ডাকাতির ঘটনার জড়িত আরও ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রামের শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি করতে গিয়ে খুন, অস্ত্র, নারী নির্যাতন, মাদক সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো ১) পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার কেশবপুর ইউনিয়নের নুরুল আলম বাড়ির সিরাজ মিয়ার পুত্র মো. মিজান (৩৫) সে বর্তমানে চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম হাফেজ পাড়া এলাকায় থাকতো। ২) বোয়ালখালী জেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের হাড়ভাঙ্গা গিরি সাহেব বাড়ির হাঁছি মিয়ার পুত্র মো. আজাদ ওরপে জফুর-গফুর-জহুর-জসিম (৩৩), সে বর্তমানে বায়েজিদ থানার বালুছড়া সলেমানের কলোনী এলাকায় থাকতো। ৩) রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকার জাইল্ল্যা পাড়া দুলাল মহাজন বাড়ির সাধন দে’র পুত্র সুব্রত দে ওরফে সুমন (২৬)। ৪) রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বনগ্রাম আজিজনগর এলাকার জয়নাল আবেদীনের পুত্র আবদুল মতিন (২৫)। এরআগে শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে এই ডাকাতির ঘটনার অন্যতম সদস্য এবং ১০ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. সেলিম ওরপে বাইট্টা সেলিমকে (৪২) ধরেছিল পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডাকাত দলের এই ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশ জানায়। তারা প্রত্যেকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে গেলে সেখানে তাদের মধ্যে পরিচয় হয় এবং তাদের ডাকাতির কার্যক্রমে প্রত্যেকে প্রত্যেককে ভাড়া করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে তারা ডাকাতির ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
রাঙ্গুনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, “গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ডাকাত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গত মাসের ৪ এপ্রিল ইসলামপুর ইউনিয়নে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে তারা। ঘটনার আরো অনেকেই জড়িত কথা জানায় তারা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মিজানের বিরুদ্ধে গতবছরে শান্তিনিকেতনে ডাকাতি করতে গিয়ে বাজারের দারোয়ানকে খুন সহ ডাকাতি, হাটহাজারী এবং রাঙ্গুনিয়া থানায় পৃথক দুটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। ডাকাত জফুর ২০১৪ সালে ডাকাত বাইট্টা সেলিমের সাথে ইছাখালী এলাকায় ডাকাতি করতে গেলে তাদের চিনে ফেলায় সিএনজি চালককে গুলি করে হত্যা করেছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানা সহ বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র মামলা রয়েছে। ডাকাত মতিন গত বছর রাঙ্গুনিয়া থানায় মদ সহ গ্রেফতার হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার সুমন পেশায় একজন সিএনজি চালক হলেও সে ডাকাত দলের নতুন সদস্য। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে তারা।