আজ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা , ভাংচুর ও নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় হুমকিদাতাদের ছাড় দেয়া হবেনা । যারা নৌকা প্রতীকের অসম্মান করেছেন তাদের হুশিয়ার করে বলেন , সন্ত্রাসীরা যতই শক্তিধারী হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে । নৌকার কর্মীদের হামলাকারিদের ছাড় দেয়া হবে না । সোমবার ( ১৫ নভেম্বর ) বিকালে খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি – ঘর পরিদর্শন এবং হামলার শিকার নেতা – কর্মী ও সাধারণ মানুষের আহাজারির কথা শোনেন । পরিদর্শন শেষে ধেচুয়াপালং ষ্টেশনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় উপরোক্ত কথা বলেন । এমপি কমল আরো বলেছেন , রামুর অন্য দশ ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ নেই । অথচ খুনিয়াপালং ইউনিয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার কর্মীর বাড়িতে হামলা , অত্যচার , অগ্নিসংযোগ , লুটপাট , স্কুল – কলেজের শিক্ষার্থীদে অশ্রাব্য ভাষায় গালি , হুমকির কথা শোনে আমি আশ্চর্য হয়েছি , তারা এতো সাহস কোথায় পেল ? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীরাও এরকম নৃশংস অত্যচার করেনি । I যারা নৃশংসতা চালিয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে । তিনি বিদ্রোহী আব্দুল হককে উদ্দেশ্য করে বলেন , এই মুহুর্তে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ না হলে কারো অবস্থা ভালো হবেনা । শান্ত রামুকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না । এটা কারো জন্য শুভ হবে না ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন , রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম , কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী , রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ সভাপতি মো সালাহ উদ্দিন , রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক , যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ । পরিদর্শন কালে ভুক্তভোগীরা বলেন জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাংবাদিক আব্দুল মাবুদ । একটি ভোট কেন্দ্রে প্রশাসনিক ক্যু করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে । তাঁরা বলেন বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হক ২০০৮ সাল থেকে সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিপক্ষে কাজ করেছেন । তারপরও আব্দুল হককে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ । নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি- জামাতের মদদপুষ্ট আব্দুল হকের সমর্থকরা এ হামলা ও অত্যাচার চালাচ্ছে । আর নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি নেতা ফরিদ , বাহাদুরসহ অনেকেই । তাদের হামলায় ইউনিয়নের ৫০ টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট এবং অসংখ্য নৌকা প্রতীকের অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায় । এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।
সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি সোমবার সকালে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে নির্বাচনের দিন রাতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদকে দেখতে তাঁর বাড়িতে যান ।