শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

চসিক মেয়র আ জ ম নাছির ১২ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে নিজ সম্মানীর অর্থ তুলেদেন

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৯

এমএহামিদঃ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের গত মার্চ মাসের সম্মানী অর্থ তুলেদেন ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে রয়েছে অটিজম স্কুল, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও অস্বচ্ছল অসুস্থ ব্যক্তি।

গত বুধবার ৮ মে দুপুরে চট্টগ্রাম চসিক সিটি করপোরেশনে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ সম্মানির অর্থ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে নিজ হাতে বিলিয়ে দেন।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়,প্রতিবারে ন্যায়, মেয়রের প্রতি মাসের সম্মানির টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে চসিকের অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীর অধীনে তুলে দেওয়া হয়।

হুমায়ুন কবির চৌধুরী সাংবাদিকদের
বলেন, যেদিন থেকে চসিক মেয়র দায়িত্ব নেন এর পর মেয়র মহোদয় ঘোষণা দেন তিনি কোনো সম্মানি নিবেন না। সরকারের দেওয়া সেই সম্মানি সমাজের দুস্থ, অটিস্টিক, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করবেন। এরই অংশ হিসেবে আমরা প্রত্যেক মাসে মেয়র মহোদয়ের সম্মানির টাকা বিতরণ করি।

তিনি আরো বলেন, এ মাসে তিনটি অটিজম স্কুলকে ৭০ হাজার টাকা, দুইজন মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা, পাঁচজন শিক্ষার্থীকে পড়ালেখার খরচের জন্য ২৭ হাজার টাকা, একটি বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ১০ হাজার টাকা এবং এক ব্যক্তির চিকিৎসার খরচের জন্য পাঁচ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।

টাকা গ্রহণ করে কনসার্ন সার্ভিস ফর ডিজেবলডের (সিএসডি) সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত বিশু তিনি বলেন, মেয়রের এ মহৎউদ্যোগ শুধু প্রশংসনীয় নয়, বরং অভিভাদন যোগ্য। কারণ মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা সকল বিত্তবানদের অনুসরণ করা উচিত।চসিক মেয়র সমাজের একজন অনুসরণীয় ব্যক্তি।

এ বিষয়ে আলাপকালে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করতে হলে দেশের কল্যাণের কাজ করতে হবে, আমি জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে এ পৃথিবীতে শুধু নিজের ভোগবিলাসের জন্য পাঠাননি। সমাজ ও রাষ্ট্রেরর প্রতি দায় বদ্ধতা থেকে আমি সারাজীবন সমাজের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। নগরের অসহায়, দুস্থ কিছু মানুষ, কিছু ছাত্র, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের কল্যাণে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে আমার সম্মানির টাকা ব্যয় হচ্ছে এটা আমার জন্য বড় আনন্দের।

তিনি আহবান জানান,সমাজের কল্যাণে সব বিত্তবানদের এগিয়ে আসলে দেশে অভাব অশান্তি থাকবেনা।

দেশের সকল জনপ্রতিনিধি যদি এই ভাবে এগিয়ে আসে সমাজে হিংসাবিবেধ থাকবেনা।