আজ ২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের চাতরী চৌমুহনী কাঁচা বাজারে সড়ক বা ফুটপাত যেখানেই ইচ্ছা বসতে পারবে, তবে হতে হবে সংগঠনের সদস্য। আর দিতে হবে দৈনিক বা মাসে মোটা অংকের চাঁদা। চাঁদা না দিলে দোকানীদের দেন দোকান বন্ধের হুমকি দলবল নিয়ে করেন মারধর। এসব ঘটনায় দোকানীরা অতিষ্ঠ হয়ে আবদুল হালিম ও আনোয়ার হোসেন প্রকাশ আনু মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভোক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ বিকালে মো. মিজান নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে হালিম ও আনু মিয়া এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। ঘটনাটি পুরো বাজারে জানাজানি হলে ২৭ মার্চ ভোক্তভোগীরা বসেন একটি বৈঠকে। বৈঠকে সাইফুদ্দিন, মামুন, করিম ও কায়ছার নামে কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও ১২ হাজার ৩শত টাকা নেওয়ার অভিযোগও তুলেন ভোক্তভোগীরা।
কাঁচা বাজারে সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের নুরুল ইসলাম, ফোরকান, রফিক, ফারুক, সেলিম, মিজান, কায়সার, মো. ফজল করিম, মো. মামুন, সাইফুদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন গণস্বাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্থানীয় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমবায় সমিতির কাছে।
ফোরকান নামে এক দোকানী অভিযোগ করে বলেন, কাঁচা বাজারে দোকান করতে হলে দোকানীদের দিতে হয় চাঁদা। না দিলে হুমকি ও মারধরও করেন তারা। অভিযোগ যুক্ত ব্যক্তিদের অত্যাচারে আমরা আর কোনো উপায় না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্থানীয় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমবায় সমিতির কাছে অভিযোগ করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল হালিম বলেন, আমাদের সংগঠনটি নিবন্ধিত একটি সংগঠন। যারা এসব অভিযোগ করেছেন, তারা বাজারের কোনো দোকানীও না। একটা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছেন আমাদের বিরুদ্ধে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, চাতরী চৌমুহনী কাঁচা বাজারে চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।