রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

রাঙ্গুনিয়ায় মসজিদের মাছ লুটের অভিযোগ,দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯

রাঙ্গুনীয়া প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগরে একটি মসজিদের ৪০ হাজার টাকার মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাছ লুটের প্রতিবাদ করতে গেলে লুটকারী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে দুইপক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় মাছ ধরার জাল ও একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করেন তারা। এই বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড নাছির মোহাম্মদ পাড়া এলাকার আবদুল কাদের জিলানী জামে মসজিদ সংলগ্ন একটি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের দখলে রয়েছে এবং তাতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মাছ চাষ করেছে। শনিবার (১৮ মে) ভোর ৭টার দিকে দক্ষিণ রাজানগরের ধামাইরহাট এলাকার কাজী আহমদুল হকের পুত্র ঈমাম হোসেন (৪৫), শাওয়াল হোসেন (২৮) সহ ১০/১২ জন কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে পুকুরে বড় জাল ফেলে। এসময় তারা প্রায় ৪০ হাজার টাকার মাছ ধরে সিএনজি অটোরিক্সা করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয় এবং তাদের মাছ ধরা অব্যাহত রাখে। মাছ ধরার এক পর্যায়ে এলাকাবাসী তাদের বাঁধা দিলে তারা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের মারধর করলে স্থানীয় শামছুল আলম (৫৫) ও আবুল বশর (৫০) নামে দুজন আহত হয়। তাদের মারতে দেখে স্থানীয় নারী-পুরুষ এগিয়ে আসে এবং হামলাকারীদের গণপিঠুনি দেয়। এসময় মাছ ধরতে আসা ইমাম হোসেন সহ দুইজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পুলিশ আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এই বিষয়ে মসজিদ কমিটির মতোয়াল্লী ও থানায় অভিযোগকারী আবদুল জব্বার বলেন, ‘পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের দখলে আছে এবং দলিল মূলে এটির মূল মালিক মসজিদ কর্তৃপক্ষ। ধামাইরহাট এলাকার ইমাম হোসেন দলবল নিয়ে জোরপূর্বক মসজিদের পুকুরে জাল ফেলে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের উপর হামলা চালালে এলাকার দুইজন আহত হয়। বিষয়টি আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ সৈয়দ তালুকদার বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে ইমাম হোসেন তার দল বল নিয়ে মসজিদের মাছ লুট করতে গেলে তাদের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এসময় পক্ষ এবং বিপক্ষ দলের বেশ কয়েকজন আহত হয়। ইমাম হোসেন বেশ কিছুদিন আগেও এই মসজিদের ক্যাশিয়ারের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।’
তবে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে মাছ ধরতে যাওয়া ইমাম হোসেনের ছোট ভাই শাওয়াল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘ক্রয় সুত্রে পুকুরটির একাংশের মালিক আমরা। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে আমাদের। মসজিদ কর্তৃপক্ষ পুকুরটি জোরপূর্বক দখলে রেখেছে। আমরা মালিকানাসুত্রে মাছ ধরতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।’
রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করি। এসময় আমরা মাছ ধরার জাল ও একটি সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ করি। মসজিদ কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছেন। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।