রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

দিন-রাত ব্যস্ততা রেলের পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২০ মে, ২০১৯

মুহাম্মদ আরফাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে দিন-রাত চলছে অচল বগি সচল করার কাজ। পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপে এবার ৭৩টি বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়ে থাকা স্ক্র্যাপ বগি মেরামত করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৪৫টি বগি মেরামত করা হয়েছে বলে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন।
পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো কারখানায় সমানতালে কাজ করছেন নারী শ্রমিকও। পুরো কারখানা জুড়ে ১৮টি শপে কেউ করছেন ওয়েল্ডিংয়ের কাজ, কেউ কাটছেন প্লেইট, আবার কেউ কেউ বগিতে লাগাচ্ছেন রং, আবার কেউ পরিমাপ করছেন। এভাবে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাহাড়তলী কারখানার শ্রমিকরা। একেকটি বগি মেরামত করতে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। এমনিতে বছরের অন্য সময় নরমাল বগিগুলো মেরামত করতে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। ঈদ উপলক্ষে এই স্ক্র্যাপ বগিগুলো মেরামত করতে ব্যয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি টাকা। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য বাড়তি বগি মেরামত করা হচ্ছে বলে জানান কারখানার শ্রমিকরা। রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এমনিতে নরমাল দিনগুলোতে প্রতিটি ট্রেনে ১৬টি বগি থাকে। ঈদে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত আরো ৪টি বগি যুক্ত হবে। প্রতিটি ট্রেন হবে ২০ বগির। একটি ট্রেনে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ যাত্রী যাবে। একটি বগিতে ৬০জন করে বসতে পারে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার কর্ম ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম আজাদীকে জানান, এবারের ঈদে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ৮০৩টি কোচের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করবে। আমরা পাহাড়তলী কারখানায় ৭৩টি কোচ মেরামত করছি। পরিবহন বিভাগ যতটি লাগে ব্যবহার করবে। এর মধ্যে আমরা ৩০টির মতো বগি পরিবহন বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছি। আরো ১৫টি রেডি আছে। সবগুলো ২৬ মে’র মধ্যে বুঝিয়ে দেবো। ঈদ উপলক্ষে আমরা যেসব বগি মেরামত করছি সেগুলো অনেক দিনের পুরনো।
শুক্রবার সরেজমিনে পাহাড়তলী কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, বন্ধের দিনেও শ্রমিকরা রেলের বগি মেরামতের কাজ করছেন। এ সময় কারখানায় নারী শ্রমিকদেরও কাজ করতে দেখা যায়। শুক্রবার বন্ধের দিনেও সবাই শিফট অনুযায়ী কাজ করছেন বলে জানান কারখানার কর্ম ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, একটি নতুন বগি বিদেশ থেকে ক্রয়ে খরচ হয় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। মেরামতে অতিরিক্ত টাকা গেলেও সবগুলো বগি সচল হলে সরকারের শত কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হবে।