রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

পরিত্যক্ত ব্রিজে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল এলাকাবাসীর নাজিরহাটের পুরনো হালদা সেতু যেকোন সময় ভেঙে পড়ার শঙ্কা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

মুহাম্মদ আরফাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত শতবর্ষী নাজিরহাট পুরনো হালদা সেতুটি যেকোন সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্রিজটি ১৯৯৪ সালেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এ স্থানে নতুন পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি উপেক্ষিতই রয়ে গেছে। এতে নদী পারাপারের প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে মানুষ।
উত্তর চট্টগ্রামের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র নাজিরহাট বাজারের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদীর ওপর ব্রিজটি ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার নির্মাণ করে। উপর্যুপরি বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ব্রিজটি ইতোমধ্যে পূর্বপ্রান্তে ও মাঝখান দিয়ে ৩/৪ ফুট দেবে গেছে। এতে বছরখানেক আগে থেকেই ব্রিজটি দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন। সেতুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোন সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। তারপরও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বৃহত্তর ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর উপজেলার হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচলে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিজটির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। তখন সমগ্র চট্টগ্রামের মানুষের ভারতে যাবার একমাত্র মাধ্যম ছিল এ ব্রিজটি। এটি দিয়ে হাজার হাজার শরণার্থী ভারতে যায়। এছাড়া ফটিকছড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কের গোড়াতেই এ ব্রিজটির অবস্থান। ব্রিজের দু’ পাড়ে নাজিরহাট বাজারের পাশাপাশি নাজিরহাট কলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদ্যমান। এ কারণে ব্রিজটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ প্রসঙ্গে নাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত বন্যায় নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কটিও ব্রিজের নিকট ভেঙে গিয়ে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে।
জানা গেছে, বৃটিশ সরকার ১৯১৯ সালে তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের মাধ্যমে ফটিকছড়ি-হাটহাজারী উপজেলার সীমান্ত এলাকা নাজিরহাটে এ ব্রিজটি নির্মাণ করে। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী ডিনামাইড দিয়ে সেতুটির একাংশ ধ্বংস করে দেয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালে সেতুটি মেরামত করে যোগাযোগব্যবস্থা সচল করে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রিজটির স্থানে একটি নতুন পাকা ব্রিজ নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইসহ প্রাথমিক সব কাজকর্ম সম্পন্ন হয়েছে।