শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

সৌদি আরবের মক্কা পবিত্র কাবা ঘরের দরজায় শুধু স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে ২৮০ কেজি

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২

 

মোঃকামাল উদ্দীন, সৌদি আরব, প্রতিনিধিঃ

 

সৌদি আরবের মক্কা কাবা শরীফের দরজা পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান দরজার মধ্যে অন্যতম।
পবিত্র এই দরজার স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে ২৮০ কেজি।
এর পাশাপাশি শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য কারণেই পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান দরজায় পরিণত হয়েছে।
ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে সম্মানিত এই দরজার ৩.১মিটার লম্বা এবং ২ মিটার চওড়া। এছাড়া দূরত্ব রয়েছে ১/২ আদা কিলো মিটার।

এই দরজার নির্মাণ কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে খাঁটি স্বর্ণ। মক্কার বিজ্ঞান ও স্বর্ণকার বিখ্যাত স্বর,
শেখ আহমদ বিন ইব্রাহিম বদরের স্বর্ণ কারখানায় তৈরি করা হয়েছিল কাবা ঘরের দরজাটি।।

শুধুমাত্র কাবা ঘরের দরজাটি বানানো জন্য বিশেষভাবে করা তৈরি হয়েছিল কারখানাটি।।

দীর্ঘ বারো মাস কাজ করার পর তৈরি হয়েছিল কাবা ঘরের দরজা বিশেষ মূল্যবান দরজাটি মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল ২৮০ কেজি খাঁটি স্বর্ণ। ।

এসব স্বর্ণর মধ্যেই বিশুদ্ধতা ছিল ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।।।

এতে খাঁটি স্বর্ণ সহ অন্যান্য উপকরণের মধ্যে আর করা হয়েছে বিশেষ ধরনের কার্ড যা আমদানি করা হয়েছিল থাইল্যান্ড থেকে।।

পবিত্র কাবা ঘরের পবিত্র এই দরোজার নির্মাণ খরচ হয়েছিল ১৩.৪ মিলিয়ন সৌদি রিয়ালের বেশি এত টাকা স্বর্ণ ছারা অন্যান্য উপকরণ ও শ্রমিকের পারিশ্রমিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।।

২৮০কেজি স্বর্ণের মূল্য সহ হিসাব করলে খরচের মৃল্য দাঁড়াবে আরও অনেক বেশি।।

পবিত্র কাবা ঘরের দরজা পরিবর্তন করা হয়েছে ১৯৭৮ সালের তখন কার সৌদি আরবের বাদশা ছিলেন — তালেব বিন আবদুল আজিজ ১৯৭৭ সালে কাবা ঘরের দরজার কিছু সমস্যা লক্ষ্য করেন তিনি এরপর নতুন দরজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।।

তার নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী কাবা ঘরের দরজার ডিজাইনের আহ্বান করা হয়।
সে আহবানে সাড়া দিয়ে ডিজাইন জমা দেন সিরিয়ার প্রকৌশলী মুনির আল জুমববী।
সে ডিজাইন জমা দেওয়ার পর অনেক যাচাই-বাছাইয়ের করে তার ডিজাইন টি কাবা ঘরের দরজা জন্য নির্বাচিত হয়।।

পবিত্র এই দরজার ডিজাইনে উপরে খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে মহান আল্লাহতালার নাম ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম লিখা হয়।।এছাড়া বিভিন্ন অংশে লিখা হয়েছে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও গুণ বাচক নাম সহ আরবি বিভিন্ন আয়াত।।।

(১৯৭৮ সালের দেওয়া পবিত্র ( হারামাইন শরীফে ) কাবাঘরে দেওয়া দরজা এখনো বহাল আছে।।।

এর আগে কাবা ঘরের দরজা ছিল অটো মেন সুলতান আমাদের তৈরি।
১৬২৯ সালে মক্কায় বন্যার কারণে কাবা ঘরের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর খবর পেয়ে সাথে সাথে নতুন দেওয়াল ও দরজা নির্মাণের নির্দেশ দেন অটোম্যান সম্রাটের শাসক সুলতান মুরাদ ।
সেই সময় কাবা ঘরের দরজা নির্মাণ দায়িত্ব নিয়েছিলেন মিশরী প্রকৌশলী সুমিয়া তখনকার সময়ে কাবা ঘরের দরজায় ব্যবহার করা হয়েছিল ৯০ কেজি রুপা। এর উপরে ফুটিয়ে তোলা হয় স্বর্ণের বিভিন্ন নকশা তখন স্বর্ণ-রুপা দিয়ে করা হয়েছিল কাবা ঘরের দরজা।

যা টিকে ছিল পরবর্তী ৩০০ বছরে ও বেশি সময়।।

বর্তমানে দরজার আগেই আরো একটি দারাজা নির্মাণ হয়েছিল সৌদি বাদশা আব্দুল আজিজের নির্দেশে।

দরজা টিতে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার নকশার উপর ব্যবহার করা হয়ে ছিল স্বর্ণ।