রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুনের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভাংচুর

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে দুই কারাবন্দীর মধ্যে মারামারিতে সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুনের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে ২৮ নাম্বার ওয়ার্ডে নিউরোসার্জারী বিভাগে হামলা চালিয়েছে একদল যুবক। এসময় হামলাকারীরা নিউরোসার্জারী বিভাগের কেসি গেইট ভেঙ্গে ফেলে।
বুধবার রাত ২ টার কিছু সময় পরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘রাত দুটার দিকে অতর্কিত কিছু যুবক ২৮ নাম্বার ওয়ার্ডে হামলা করে৷ এসময় তারা এই ওয়ার্ডের কেসি গেইট ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
চমেক হাসপাতালে হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে চমেক হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  হামলার কিছুক্ষণ পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, এক দেড়শ অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজন গেট ভেঙ্গে মেডিকেলে ঢুকেছিল। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এই মুহুর্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।এই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক নেই, জানান আবুল কাশেম ভূঁইয়া ।
প্রসঙ্গত, দুই কারাবন্দীর মধ্যে মারামারিতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে খুন হয়েছেন সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী। কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে রিপন নামের অন্য এক বন্দীর সঙ্গে অমিত মুহুরির মারামারি হয়। একপর্যায়ে রিপনের ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন অমিত।
বুধবার রাত ১০টায় এ ঘটনার পর আহত অমিতকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান বলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান।
তার মৃত্যু বরণ করার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত দুইটার দিকে চমেক হাসপাতালে হামলা চালায় একদল যুবক।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের পর ড্রামে ভরে এসিড দিয়ে লাশ গলিয়ে দিঘীতে ফেলার মামলায় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট অমিত মুহুরীকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
নিহত অমিত মুহুরি পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে জোড়া খুনসহ ১৫টি মামলা আছে। ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে বন্দী ছিলেন।