বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট দুর্ঘটনা; “সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান”

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২

 

সাকিব আলম মামুন
লংগদু (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার কাপ্তাই হ্রদে বালুবাহী ইঞ্জিন চালিত বোট ও যাত্রী বাহী স্পিড বোটের সংঘর্ষে সাতজন আহত এবং দুইজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৪ঠা নভেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২টা থেকে ৩টার মধ্যে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন দুরছড়ি ইউনিয়নের শিজক থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোট এবং রাঙ্গামাটি থেকে ছেড়ে আসা বালুবাহী বোটের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মুহূর্তেই স্পিডবোট উল্টে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কাট্টলী এলাকা থেকে ১কিলোমিটার উত্তরে ওয়াচ টাওয়ারের পার্শ্বপর্তী গাছটিলা নামক স্থানে উক্ত দুর্ঘটনায় স্পিবোটের চালকসহ মোট নয়জন যাত্রী ছিল। তারমধ্যে আহত সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ দুইজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

নিখোঁজেরা হলেন- বাঘাইছড়ি উপজেলার কেংড়াছড়ি এলাকার মুক্তলাল চাকমার ছেলে লিটন চাকমা (২০), অন্যজন বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের হাজাছড়া গ্রামের সুরুত চাকমার মেয়ে এলিনা চাকমা (২০)। জানা যায় দুজনই শিজক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

লংগদু জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌছে। তাদের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নিখোঁজদের উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে লংগদু থানা পুলিশ স্পিডবোট ও বালুবাহী বোটের দুই চালককে আটক করে। পরবর্তীতে বালুবাহী বোটের চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং স্পিডবোট চালককে থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। স্পিডবোটের আহত ৬ জনকে রাঙ্গামাটিতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

লংগদু জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল হিমেল মিয়ার নির্দেশনায় মেজর আবরার এর তত্ত্বাবধানে এখন পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

বালুবাহী বোট চালক নজরুল ইসলাম জানান, “আমি বোটে নামাজ পড়ে ছাদে উঠতেই দেখি স্পিড বোটটি আমার বোটের কাছাকাছি, কিছু করার আগেই নিমিষেই সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।”

অন্যদিকে স্পিড বোট চালক হিমেল চাকমা বলেন, “হঠাৎ আমার চোখে কিছু (ময়লা) পড়েছে বলে মনে হয়। তখন আমি এক হাতে চোখ পরিষ্কার করতে থাকি, তাৎক্ষণিকভাবেই মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে যায়।”

এদিকে নিখোঁজ এলিনা ও লিটন চাকমার পরিবার দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে মর্মাহত এবং ঘটনাস্থলে এসেছেন।