রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

পবিত্র জুমাতুল বিদা আগামীকাল

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯

মো. নুরুল আলম: আগামীকাল পবিত্র জুমাতুল বিদা। হয়তো আজই রমজানের শেষ দিন। তার আগে আজ শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা হিসেবে পালিত হবে। আল্লাহর মুমিনবান্দারা দিনটি ইবাদত বন্দেগি ও জিকির-আজকারের মাধ্যমে পালন করেন। এ দিন জুমা শেষে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা।

দিনটি মুসলিম বিশ্বে মুসলামানদের প্রথম কেবলা ‘বায়তুল মুকাদ্দেস’ মসজিদুল আল-আকসা পুনরুদ্ধারের দাবিতে আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়। ১৯৬৮ সালে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মুসলমানদের হাতছাড়া হয় মসজিদের আল আকসাখ্যাত বায়তুল মুকাদ্দেস।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ শুক্রবারে জুমার নামাজের পর বিশেষ ইবাদত করতেন। তার উম্মতরা এরই ধারাবাহিকতায় এ দিনে জুমার পর নফল নামাজ আদায় করেন ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ০৫জুন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এরইমধ্যে রাজধানী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও জুমাতুল বিদা উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমে অতিরিক্ত মুসল্লির নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে দীর্ঘ সিয়াম-সাধনার পর এখন ঈদের চাঁদ দেখার অপেক্ষা। একদিকে রমজানের বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে মুমিনের অন্তরে। অন্যদিকে ঈদের খুশির বার্তাও আনন্দের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে সবার হৃদয়ে।

ঈদের প্রকৃত খুশি ও পুরস্কার কেবল তারাই হাসিল করতে পারে যারা এক মাস ইমান ও আত্মজিজ্ঞাসার সঙ্গে রোজা রাখেন, তারাবিহ, ইফতারি, তাহাজ্জুদ ও অন্যান্য নফল ইবাদত বন্দেগি করেন। মহান আল্লাহ ঈদের দিনে রোজাদারদের মাফ করে দেন। রাসুল (সা.) এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, সংযম সাধনার পর ঈদের দিনে রোজাদারগণ শিশুর মতো মাসুম হয়ে যান।

হাদিসে এসেছে, মানুষের জন্য সেই দিনটিই হচ্ছে প্রকৃত ঈদ যেদিন সে কোনো পাপ বা গোনায় লিপ্ত হয় না। অর্থাৎ নিজেকে পাপ থেকে রক্ষা করতে পারাটাই হচ্ছে মুমিনের জন্য প্রকৃত সাফল্য। রমজান মাসে মুসলমানদের যে খোদাভীতি ও উন্নত স্বভাব-চরিত্র অর্জিত হয়, সারা জীবন তা ধরে রেখে অবস্থার উন্নতি হলেই সার্থক হবে আমাদের ঈদ উদযাপন। ঈদকে বলা হয় পাক-পবিত্র হওয়ার উৎসব। তাই এই ঈদের আনন্দ কেবল তার জন্যই প্রযোজ্য যে নিজেকে সংশোধন করতে পেরেছে, ঠিক যেমন ইফতার করা কেবল রোজাদারের জন্যই শোভনীয়। রোজা এমন ইবাদত যা বাহ্যিকভাবে দেখা যায় না।

বছরের যে পাঁচটি রাত মর্যাদাপূর্ণ তার মধ্যে ঈদুল ফিতরের রাত অন্যতম।