বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল -|- ১১ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

লোহাগাড়ায় ‘মভ টেস্ট’ ও ইউএনও মেধাবী এ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার ২য় পর্বের পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২

এরশাদ আলম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ‘মভ টেস্ট’ ও ইউএনও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রতিযোগিতার ২য় পর্বের পরীক্ষা অত্যন্ত উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

১০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০টা ৩০মিনিটের সময় “মভ টেস্ট’ এবং দুপুর ১২টার দিকে ইউএনও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এ্যাওয়ার্ড ২০২২ইং উপজেলা সদরের শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও মোস্তফা বেগম গার্লস স্কুলে আলাদা আলাদা সময়ে এই পরীক্ষা দুটি অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ‘মভ টেস্টে’ উপজেলার সকল স্কুল ও মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণির প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী এই পর্বে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে ইউএনও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রতিযোগিতার ২য় পর্বের পরীক্ষায় উপজেলার সকল স্কুল ও মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির (২০২৩ সালে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থী) প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী এই পর্বে অংশগ্রহণ করেন। ২য় পর্বের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ৩য় পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরিক্ষা শেষে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান, ইউএনও স্যারের এই পরীক্ষাগুলোর কারণে পড়াশুনায় আমরা বেশ মনোযোগী হয়েছি। আশা করি, আমরা ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু অর্জন করতে পারবো। স্যারের প্রতিটি উদ্যোগই অসাধারণ। আমরা খুবই উপভোগ করছি। আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি ও আগামী দিনে যে কোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্যারের এই পরীক্ষাগুলো অনেক বেশি সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

কয়েকজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, ইউএনও স্যারের এই প্রতিযোগিতাগুলোতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতিই বলে দিচ্ছে তাদের কাছে পরীক্ষাগুলো কতটা উপভোগ্য এবং শিক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এসব উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে, আগ্রহী ও মনোযোগী হয়ে উঠছে। এতে করে বিভিন্নভাবে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এসএসসি পরীক্ষার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি তরান্বিত হচ্ছে। এককথায় উদ্যোগগুলো অসাধারণ ও ব্যতিক্রমী।

ইউএনও শরীফ উল্যাহ জানান, মূলত এই প্রতিযোগিতাগুলোর মাধ্যমে আমি প্রকৃত মেধাবীদেরকে বের করে পুরস্কৃত করার যেমন পরিকল্পনা নিয়েছি, তেমনি একই সাথে উপজেলার সকল স্কুল ও মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীকে এই প্রতিযোগিতার ১ম পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছি, যাতে তারা পড়াশুনার মধ্যে থাকে। আমি বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগসমূহের ফলে শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভালোভাবে প্রস্তুত হতে শিখবে।