বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

দীঘিনালায় ইটভাটার কারণে পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা
মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (সোহাগ)

খাগড়াছড়ি দীঘিনালা অঞ্চলে তিন ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে বিষয়টি উদ্বেগজনক। বস্তুত দেশে ইট তৈরির পুরোনো পদ্ধতি চালু থাকার ক্ষতি অনেক। ইটভাটার কারণে বায়ুদূষণ ঘটছে মারাত্মকভাবে। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। ধ্বংস হচ্ছে পাহাড় ও গাছপালা। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, এ পদ্ধতিতে ইট তৈরির কারণে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের। তারপরও বন্ধ হয়নি পরিবেশ বিধ্বংসী ইটভাটার কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৮ অনুযায়ী আবাসিক, সংরক্ষিত ও বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর ও কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ আইন লঙ্ঘন করেই চলছে অবৈধ ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম। এগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।ইট তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত করা হয় মাটি। দীঘিনালা এলাকায় বেশ কয়েকটি ইটভাটায় বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইট তৈরি করা হচ্ছে।

জানা যায়, ইটভাটায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হয় বনের কাঠ। এ কাঠ পোড়ানোর ফলে প্রচুর পরিমাণ বায়ুদূষণ হয়। অন্যদিকে ইটভাটা থেকে বায়ুমন্ডলে নানা দূষিত উপাদানও যোগ হচ্ছে। এসব উপাদান মানবদেহে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করলে রেসপিরেটরি সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এ কারণে ইটভাটার আশপাশে বসবাসরত মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা যায় বেশি।

এছাড়া ইটভাটা থেকে নির্গত ছাই পার্শ্ববর্তী নদী বা জলাশয়ে নিষ্কাশিত হয়। ওই বর্জ্য পানিতে মিশে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত উপাদান জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর মাধ্যমে খাদ্যশৃঙ্খলের দ্বারা মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। ফলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কৃষিজমির উপরও ইটভাটার ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। জমির উর্বরতা শক্তি কমছে। কাজেই সব দিক বিবেচনা করে ইটের পরিবর্তে ব্লকের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।