বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

চন্দনাইশে ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটির উদ্যোগে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩

চন্দনাইশ প্রতিনিধি: ভাষার মাসের শেষদিনে চন্দনাইশে ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটির উদ্যোগে তাঁর স্মৃতিধন্য গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডলে উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কচি কিশোর শিক্ষার্থীদের সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সোসাইটির সভাপতি লেখক গবেষক শাহজাহান আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক জনাব নূর মোহাম্মদ। প্রধান বক্তা ছিলেন চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলম। প্রতিযোগিতা পরিচালনায় ছিলেন শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম, রনজিৎ কুমার দে, মিসেস মিতা বড়ুয়া, বিজন চক্রবর্ত্তী, আবদুল আজিজ, মিসেস পপি আকতার প্রমুখ।

বই বিনিময় উৎসব উদযাপন পরিষদ চন্দনাইশের অর্থ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম রাকিব এর উপস্থাপনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বই বিনিময় উৎসব উদযাপন পরিষদ চন্দনাইশের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রাকিব। প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদেরকে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি” লিখতে বলা হয়। বিচারকবৃন্দের সিদ্ধান্ত ক্রমে সেরা ৮জন শিক্ষার্থীকে বই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ বলেন, ভাষা সৈনিক শিক্ষাবিদ মরহুম আবুল কালাম আজাদের অবদান স্মরনীয় করে রাখতে এডুকেশন সোসাইটি বহুমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আসছে যা সত্যি প্রশংসনীয়। শিশুকিশোর শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে এ ধরনের প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রধান বক্তা সাংবাদিক মো. নুরুল আলম ভাষাসৈনিক মরহুম আবুল কালাম আজাদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, তাঁর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রাপ্তির বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে। সভাপতি জনাব শাহজাহান আজাদ মহান একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার প্রাণের বর্ণমালার প্রতি তাঁর মরহুম পিতা ভাষাসৈনিক শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ সহ সকল ভাষাশহিদ ও সকল ভাষা সংগ্রামীর অকুন্ঠ ভালবাসা ও শ্রদ্ধার কথা স্মরণ করে বলেন সর্বস্তরে শুদ্ধ বানান ও প্রমিত বাংলা ব্যবহার ও র্চচার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই শহিদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।