বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

সাভারে মাদক ও চোরাকারবারিদের আতঙ্ক  ওসি বিপ্লব

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩

বিডিআর বিদ্রোহের সময় একমাত্র সাহসী পুলিশ অফিসার হিসেবে পতাকা হাতে মির্জা আজম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বিপথগামী বিডিআর জোয়ানদের সাথে  আলোচনা করতে নিজের জীবন বাজি রেখে  এগিয়ে চলা তৎকালীন সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা,

সাভার আশুলিয়া ধামরাই অঞ্চলের মাদক সিন্ডিকেট ও চোরাকারবারিদের আতঙ্ক।
সাভারে যোগদানের পর থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে এলাকাটির মাদক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। পুলিশের এই চৌকস কর্মকর্তার দায়িত্বশীল আচরণ ও মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতিতে স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয় সুধীসমাজ বলছেন  এমন পুলিশের স্বপ্নই দেখে বাংলাদেশ। বলছিলাম মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লবের কথা । অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) ডিবি ঢাকা জেলা উত্তর (আইজিপি ব্যাচ পদকপ্রাপ্ত)। শতভাগ পেশাদার আচরণের মাধ্যমে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন পুলিশের চেঞ্জ মেকার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজউদ্দিন আহমদ বিপ্লব। সাভারে যোগদানের পর থেকেই পাল্টে গেছে সাভার থানা এলাকার প্রেক্ষাপট।

ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই তিনি সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেন মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে। ডিবির এই চৌকশ অফিসারের জালে আটক হতে থাকে বিপুল পরিমাণ মাদক, পৃথক পৃথক অভিযানে  গাজা,ইয়াবা, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ট্যাপেন্টা, ফেন্সিড্রিল) সহ মাদক কারবারী রাঘববোয়ালরা। আতঙ্কে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অপরাধ জগতের সাথে জড়িত  অনেক সন্ত্রাসী।
শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যেন তার এতটুকুন নেই কার্পণ্য। চৌকস এই পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে তার টিম  অঞ্চলটির আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে রাত দিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে  বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়ে বিচার নিশ্চিতেই  যেনো তার যত আনন্দ। ফলে কমতে শুরু করেছে  গোটা এলাকাজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ ও মাদকের আধিপত্য ।

সরকারি বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে দিন-রাত পরিশ্রম করেন ডিবির চৌকস এই কর্মকর্তা। শুধু আইনের সঠিক প্রয়োগই নয়,অনেক মানবিক কাজ সাভারবাসীর কাছে তাকে পরিচিত করেছে মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে।

প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে পুলিশের এই চৌকস কর্মকর্তা বলেন সন্ত্রাস, চুরি,ছিনতাই ও চাঁদাবাজি এবং মাদক মুক্ত রাখতে আমার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
আমি ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান পিপিএম বার মহোদয়ের নির্দেশনা এবং ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্বেরা হাবিব খান পিপিএম  সেবা  মহোদয়গণের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবির সাথে থেকে আমার প্রত্যেক চৌকস অফিসার ফোর্সদের সাথে নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের সুনাম অর্জনের স্বার্থে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। গোটা পুলিশ বাহিনী জুড়ে  পেশাগত  দায়িত্ব পালন ও দেশ সেবায় অনেক ত্যাগী ও সিনসিয়ার পুলিশ সদস্য রয়েছে আমিও তাদের মধ্যে একজন মাত্র।

উল্লেখ্য  ওসি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিপ্লব ডিএমপি ডিবিতে ৭ বছর,ওসি বগুড়া চার থানায় ৭ বছর,মানিক গঞ্জের ঘিওর সহ একাধিক জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আলো ছড়িয়েছেন।

ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব,লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার কাশিরাম গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা  মৃত মহির উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে।

২৭ বছরের চাকুরী জিবনে কোন গুরুদন্ড পাননি বরং কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিপার্টমেন্টাল অ্যাওয়ার্ড এবং  অর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন একাধিকবার। এছাড়াও মাদার তেরেসা পুরস্কার,
বঙ্গবন্ধু ও জয়বাংলা পরিষদ থেকে জয়বাংলা হিউমিনিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২০,
শেরেবাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২২ ছাড়াও তার অর্জনের ঝুড়িতে যুক্ত হয়েছে একাধিক পুরস্কার।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বিপ্লব বলেন আমার ছেলে সন্তানদের গড়ে তোলার জন্য আমার সহধর্মিনী শাহনাজ আহমেদ বিথির অবদান অপরিসীম। কারন পুলিশের চাকুরী করে স্ত্রী- সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া সম্ভব হয় না । সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্বটা আমার স্ত্রী’ই সর্বোচ্চ টুকু পালন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক আমি । একজন গাজীপুর আইইউটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি এবং ছোট ছেলে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ছেন।

নিজের সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করে গড়া এবং দেশ সেবায় জীবনের শেষ সময় টুকু পর্যন্ত নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান পুলিশের চৌকস এই কর্মকর্তা। পরকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করাতেই তার যত আনন্দ। প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জীবন্ত কিংবদন্তি পুলিশের এই আদর্শ কর্মকর্তা সাধারণ মানুষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে যে কোন বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আইনের সঠিক প্রয়োগ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বন্টনের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন পুলিশের চৌকস এই কর্মকর্তা।