মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

দীঘিনালায় জ্বলছে তামাক চুল্লি, পুড়ছে পাহাড়ের কাঠ

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা,শাহাদাৎ হোসেন (সোহাগ)দীঘিনালায় পরিবেশের ক্ষতি তোয়াক্কা না করে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় বেপরোয়া ভাবে চলছে তামাক চুল্লি। বনাঞ্চল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানের কাঠ কেটে এসব চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ । তামাক চাষ বন্ধে সরকারিভাবে কোনো আইন বা নিষেধাজ্ঞা না থাকায় চলছে ধ্বংসযজ্ঞ। তামাক চুরিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ধূমঘর। জমি থেকে কাঁচা তামাক পাতা সংগ্রহ করে এনে শুকানো হয় এই তামাক চুল্লিতে। বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসন হিসেবে খ্যাত তামাক চাষ এবার করা হয়েছে শত শত একর হেক্টর জমিতে। এই ফসল চাষ বন্ধে কোনো আইন না থাকলেও রয়েছে পরিবেশ আইন। যে আইনে প্রতিবছর হাতেগোনা কয়েকটি তামাক চুল্লিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। তবু থামানো যায়নি তামাক চুল্লির ভয়াবহতা।সরেজমিন মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ি, মধ্যে বেতছড়ি, সহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঘুমঘরের অনেক দূর থেকে নাকে ভাসছে তামাক পাতা পোড়ানোর অনুঘ্রাণ। তবে এই ঘ্রাণে কেউই আঁচ করতে পারছে না মানব শরীরের জন্য এটা কত ক্ষতিকর। তামাক চুরিতে জ্বালানি কাঠ ঠেলে দেওয়ার কাজ করছেন মোঃআবু হানিফ । তবেতার মুখে নেই মাক্স বা মুখবন্ধের ব্যবস্থা। তবে, এমন ভয়াবহ ঝুঁকিতে কাজ করার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, ক্ষতি জেনেও বাধ্য হয়েই কাজ করতে হয়। কারণ, এখান থেকে যে আয় করেন তা দিয়েই সংসার আর ঋণ

একই গ্রামে রয়েছে পাশাপাশি ৪০-৫০ টি তাকাম চুল্লী । এসব চুল্লীর আশপাশেই রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সমাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রত্যেকটি চুল্লির পাশেই স্তূপ করে রাখা হয়েছে শত শত মণ কাঠ।দীঘিনালায় প্রায় সব ইউনিয়নের পোড়ানো হচ্ছে এমন ভয়াবহ তামাকের পাতা । ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলে তামাক পাতা সংগ্রহ ও শুকানোর কাজ। উপজেলায় শতাধিকের বেশি তামাক চুরিতে এখন পাতা শুকানোর কাজ চলছে। আর এই প্রত ডলছে তামাক চুরি পুড়ছে কাঠ। এসব কাঠ আনা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল এবং বাগান থেকে। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং আশপাশের মানুষেরও চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। উপজেলায় তামাকের আবাদ যে হারে বাড়ছে এতে একদিকে যেমন ফসলি জমি কমছে, অন্যদিকে তামাক পাতা পোড়ানোর জন্য বনের কাঠ আহরণের হিড়িক পড়ছে। এতে সবুজ পাহাড় মাংসের পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়ছে বন্যপ্রাণীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম ইউএনও বলেন , তামাক চাষ বন্ধে সরকারিভাবে কোনো আইন না থাক প্রশাসন কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। তবে তামাক চাষ না করতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ চাষীদের নিরুৎসাহ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ আইনে আমাক চুল্লিগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।