এরশাদ আলম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আলাদা আলাদা দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য, সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সোলাইমান এবং ১২৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ছকিনা বেগম। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ দেন তারা।
লিখিত অভিযোগে জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমসহ ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দে অনিয়ম, তাদের ওয়ার্ডের জনগণের সাথে প্রতারণা ও বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছেন চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন। গত ১৬ এপ্রিল পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে এক সমন্বয় সভায় এসব কথা তুলে ধরলে চেয়ারম্যান হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেন এবং পরিষদে আসতে নিষেধ করেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের অনিয়মের কথা তুলে ধরলে সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে হত্যা করবে বলেও প্রকাশ্যে হুমকি–ধমকি দেয়।
অভিযোগে তারা আরো জানান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যদের নির্বাচিত প্রকৃত গরীব ও অসহায় সুবিধাভোগীদের নাম তালিক থেকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানের লালিত লোকদের অন্তর্ভূক্ত করা, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অনিয়ম করা, কথায় কথায় মহিলা সদস্যদেরকে হেনেস্থা করা, রোহিঙ্গাদেরকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জন্ম নিবন্ধন কার্ডে স্বাক্ষর করা, বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের কথা গোপন করা, ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করা, পরিষদের বৈঠকে সদস্যদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে কথা বলতে না দেয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিনের মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ দিয়েছে তা আমি শুনেছি। তবে, কেন অভিযোগটি দিয়েছে তা আমি জানিনা। হয়তো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অভিযোগ যেহেতু দিয়েছে ইউএনও স্যার অবশ্যই তদন্ত করবেন। তদন্ত সাপেক্ষে স্যার যদি আমার দোষ না পায় তাহলে আমি অভিযোগকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানাবো।
লোহাগাড়া উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ উল্যাহ জানান, চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।