মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

লোহাগাড়ায় ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতি রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩ মে, ২০২৩

এরশাদ আলম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে বর্ণমালা কমিনিউকেশন লিমিটেডের সহযোগিতায়

ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতি রোধে জেলা পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক কর্মশালার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘পাহাড়ি ঢালে বসবাস, ডেকে আনে সর্বনাশ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সহকারী সার্জন ডাঃ মোঃ সোহেল, ডাঃ রায়হান উদ্দিন, ডাঃ আতিকুর রহমান, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এমএম আহমদ মনির, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মুহাম্মদ এহসান, কাউছার জান্নাত,ব্রাকের ম্যানেজার নারায়ণ কান্তি নাথ, বর্ণমালা ওয়াকশপ অর্গানাইজার শহীদুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার শহিদুল ইসলাম,।

ওই সময় বক্তারা বলেন, গত দুই দশকে ভূমিধসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলায় ৭২৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।এটির অন্যতম কারণগুলো হলো অতিবৃষ্টি, বজ্রপাত, ভূমিকম্প, মাটি খেকোদের পাহাড়কাটা, পাহাড়ি এলাকায় ইটের ভাটা গড়ে ওঠা, পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ বসতি স্থাপন করা। এসব বন্ধ করতে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ তৎপর থাকতে হবে। তাছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পূর্বাভাসে প্রস্তুতি নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মসজিদের ইমামদের তৎপর থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে টেকসই ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সম্মিলিত প্রয়াসের কোন বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর মানুষের কোনো হাত নেই। যে কোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

কর্মশালা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, চিকিৎসক, মসজিদের ইমামসহ অন্যান্যারা অংশগ্রহণ করেন।