আজ ২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
একদিকে প্রখর তাপ, অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস– এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে পড়েন যশোর অঞ্চলের কৃষকরা। মাঠের পাকা ধান নিয়ে তাদের চিন্তার অন্ত নেই। এমনই একজন চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা সরকার পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। তবে, তার মুখে হাসি ফুটিয়ে দিয়েছেন ও অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ও আগামী দোহাজারী পৌরসভা নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী এবং দোহাজারী পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এস.এম রবিন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
দেলোয়ার হোসেনের ৪০ শতাংশ জমির ধান কেটে কেটে মাড়াই করে দেওয়া হয়। মাড়াই করার জন্য মেশিন খরচের জন্য কৃষকের হাতে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। বৈশাখী ঝড়ের আগেই ধান ঘরে তুলতে পেরে খুশি কৃষক দেলোয়ার হোসেন।
রবিবার (৭ মে) সকাল থেকে দিনব্যাপী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হযরত সৈয়দ মিনাহ্ শাহ্ আউলিয়া জামে মসজিদের পিছনে মাঠে ধান কেটে দিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ও আগামী দোহাজারী পৌরসভা নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী এবং দোহাজারী পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এস.এম রবিন।
ধান কাটায় অংশ নেন– যুবলীগ নেতা মোঃ নজরুল, মোঃ হেসাম, মোঃ মন্নান, মোঃ হাসান, মোঃ খোকন, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ নাহিয়ান, মোঃ বাবু, মোঃ তারেক মোঃ জিহান, মোঃ আবিদ, আরোও রয়েছে দেলোয়ার হোসেন, শওকত হোসেন, বাচা, মোঃ মাসুম, মোঃ আলী, কৃষকলীগ নেতা মো আলম, খায়রুল বশর হক্কানি প্রমুখ।
যুবলীগ নেতা এস.এম রবিন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহুরের আহবানে বিপদগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তৃণমূল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যুবলীগের চলমান সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, এলাকার কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষের পাশে থেকে সেবার করার মাধ্যমে আমি বেঁচে থাকা জীবন চালিয়ে যেতে চাই, আমি সকলের দোয়া ও সমথর্ন প্রত্যাশী।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রচণ্ড রোদে শ্রমিকরা কাজ করতে চাচ্ছে না। ধান পেকে গেলেও টাকার অভাবে শ্রমিক নিতে পারছিলাম না। যারা কাজ করবে বলে তারা বেশি পারিশ্রমিক চাচ্ছে। তাই পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছিলাম না। বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কাটাতে গেলে লাভের মুখ দেখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।কয়েকদিন আগেই ধান কাটার কথা ছিল। কিন্তু কাটা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি যুবলীগ নেতা এস.এম রবিনকে জানায়। পরে এস.এম রবিন এসে নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্ষেতের ধান কেটে
মাড়াই করে তা ঘরে তুলে দিয়েছেন। এ অর্থ-সংকটের মধ্যে বিনামূল্যে তারা ধান কেটে দেওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। যুবলীগের নেতারা সব সময় কৃষকের পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।