শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল -|- ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

পটিয়ার এমপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে দুদকের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩

 

আবদুল হাকিম রানা : চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের এমপি ও সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তা পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।

৯ মে এ সংক্রান্ত চিঠি বা অব্যাহিতপত্র  দেওয়া হয়।  অব্যাহতি পত্রটি ওই দিনই মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদ এবং সরকারের সংশ্নিষ্ট সব বিভাগে পাঠানো হয়েছে। অব্যাহতিপত্রের একটি কপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপির কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহিত পাওয়ার পর সামশুল হক চৌধুরী বলেন, কেউ অভিযোগ দিলেই যে সত্য হবে তা ঠিক নয়। কিন্তু দেখা গেছে, যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে কেউ দুদকে সত্য বা মিথ্যা অভিযোগ দিলেই তা দুদক অনুসন্ধান বা তদন্ত শুরু করে। আর এই অনুসন্ধানের বিষয়টি গণমাধ্যমে দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই রিপোর্ট হয়।  এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মান-মর্যাদা সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়। কিন্তু তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে বা অভিযোগ থেকে অব্যাহিত দেওয়া হলেও হারানো সেই সম্মান আদৌ কি ফিরে পাওয়া যায়?

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্যাসিনো চালানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়। নামে-বেনামে এসব অভিযোগ পাঠানো হয় দুদক প্রধান কার্যালয়ে। সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কপি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন হুইপ সামশুল হকসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়।  এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সামশুল হক চৌধুরীকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।  দীর্ঘ প্রায় চার বছর অনুসন্ধান চালানোর পর  হুইপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পায়নি দুদক। হুইপের নামে-বেনামে কোনো অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়নি।

এর আগে  হুইপের বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ের অভিযোগ তোলা পুলিশ পরিদর্শক সাইফ আমিনকে আদালত সাজা দেন। ওই পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে হুইপ আদালতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা করেছিলেন।

অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় হুইপের অনুসারীরা গতকাল পটিয়ায় আনন্দ উৎসব করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম শামশুজ্জামান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, টানা তিন মেয়াদের নির্বাচিত এমপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পটিয়ায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পাশপাশি দলের কিছু মহল তার উন্নয়নযজ্ঞে ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে। যা আজ এ দুদকের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির মাধ্যমে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।