শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল -|- ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

শিক্ষার মানোন্নয়ন বাড়াতে অভিভাবকদের কাছে লোহাগাড়ার ইউএনও’র চিঠি

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

এরশাদ আলম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ইউএনও শরীফ উল্যাহ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে একটি চিঠি লিখে চমক সৃষ্টি করেছেন। গতকাল সকালে উপজেলার দুইটি বিদ্যালয়ে উপস্থিত প্রায় ১১০০ অভিভাবক ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে প্রায় ২০০০ কপি চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন ইউএনও শরীফ উল্যাহ। একই সময়ে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার অভিভাবককে দেওয়ার জন্য একটি করে চিঠি বিতরণ করা হয়। পরে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের হাতে পত্রটি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। তার লিখিত চিঠিতে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদির অপব্যবহার, মাদকাসক্তি, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি, অসামাজিক কার্যকলাপসহ বর্তমান প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া বর্তমানে অনেকের মধ্যে সততা, নৈতিকতা, মানবিক গুণাবলি, ধর্মীয়, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ইত্যাদির চর্চার অভাবের কথাও উল্লেখ রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একজন অভিভাবকের করণীয় বিষয়ে চিঠিতে তিনি বিশেষভাবে গুরত্বারোপ করেন। গত বছর শিক্ষার মানোন্নয়নে তার গৃহীত কার্যক্রমসমূহের ফলে শিক্ষার্থীরা কতটা লাভবান হয়েছে তার বিবরণ রয়েছে। গত বছর শিক্ষা কার্যক্রমসমূহ সফলভাবে বাস্তবায়নে অভিভাবকদের সহযোগিতার জন্য তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি আগামী দিনেও সকল কার্যক্রমে অভিভাবকদেরকে পাশে থাকার আহবান জানান।

উপস্থিত অভিভাবকরা বলেন, চিঠিটি আমরা পেয়েছি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা সচেতন হয়ে অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবো৷ এতে আমাদেরই লাভ হবে। তারা ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান।

ইউএনও কর্তৃক এমন অভিনব একটি চিঠি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলের দৃষ্টিগোচর হলে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়।