আজ ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
মোঃ কামাল উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি:দীর্ঘ সময়েও সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বুড়িরদোকান-মৌলভীরদোকান আঞ্চলিক সড়ক। বড় বড় গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেহাল দশার এই সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও সংস্কার কাজ শুরু হয় তবে বিগত কয়েকমাস আগে সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
মূল সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় অনেক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত।
এই সড়কে প্রতিদিন চলছে হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন, পথচারীরা। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তগুলোতে পানি জমে বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বেহাল এই সড়কে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা। বাজালিয়া হতে চট্টগ্রাম জেলা শহরসহ দোহাজারী, চন্দনাইশ, পটিয়া যাবার সহজ যোগাযোগ এই রাস্তা। অথচ, রোগী ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত যাওয়া যায় না এই রাস্তাটি দিয়ে। আর বৃষ্টিতে ভোগান্তি ওঠে চরমে।
সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় জনজীবনে বেড়েছে চরম দুর্ভোগ। দীর্ঘদিন ধরেই পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশাসহ আটকে পড়ছে প্রাইভেটকার ও মালবাহী কাভার্ড ভ্যান। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই সড়কে চলাচলকারী অসংখ্য মানুষ। আর বৃষ্টির পানি জমে একেকটি গর্ত যেন পরিণত হয়েছে ছোট ডোবায়। বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা রোকন উদ্দিন জানায়, এই সড়কের বেহাল দশার ফলে আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। এক বস্তা চাল যে বাড়িতে নেব, সে উপায়ও নাই। এসব ময়লা পানি মাড়িয়ে প্রতিনিয়ত পেটের তাগিদে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। আমরা সরকারের কাছে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার জন্য দাবি জানাই।
স্থানীয়রা বলছেন, এখন আর শুধু আশ্বাসের কথা নয়, আঞ্চলিক এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন চলাচলকারী যাত্রী, যানচালক ও স্থানীয়রা।