বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল সহ ১০৩ জনকে বিএনপির মামলা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

শাহাদাৎ হোসেন সোহাগ
খাগড়াছড়ি:

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নোমানের গাড়িবহরে হামলা ও নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

জেলা সদরের দক্ষিণ গঞ্জপাড়ার বলপিইয়ে আদামের মৃত সুরেশ ত্রিপুরার ছেলে বিএনপি নেতা রতন ত্রিপুরা গত রোববার দুপুরে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে এ অভিযোগ দেন।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়িবহরে হামলা ও নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১০৩ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা এবং উল্লেখসহ দুই শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে। উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট মো. ফরিদ আলম এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার, দৈনিক খোলা কাগজ ও দি এশিয়ান এইজের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি নুরুল আজম, দৈনিক বাংলার খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি আবদুল জলিল, দীঘিনালা সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক আবদুল জলিল ও দৈনিক তৃতীয় মাত্রার প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সবুজ।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ঘটনার দিন পেশাগত কাজে দীঘিনালায় ছিলাম। অথচ জেলা সদরের ঘটনায় আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।

ঘটনার দিন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতি চলাকালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।