আজ ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি:
ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষে বেশি মুনাফা আর রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাণিজ্যিক আম বাগানে এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বান্দরবানের ফ্রুট ব্যাগিং করা আম যাচ্ছে বিদেশে এবং দেশের বিভিন্ন জেলায়। কীটনাশক ও রোগমুক্ত হওয়ায় এসব আমের চাহিদাও রয়েছে বেশ।
এটি বান্দরবানের ফ্রুট ব্যাগিং করা একটি আম বাগানের দৃশ্য। গাছে গাছে ঝুলছে ব্যাগ আর তারমধ্যেই রয়েছে হাড়িভাঙ্গা, মল্লিকা, আম্রপালি ও রাংখোয়াইসহ বিভিন্ন জাতের আম। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি। বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পাহাড়ে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষ করে সফল হয়েছেন পাহাড়িকা এগ্রো-২৩ এর স্বত্বাধিকারী (সাইফুল ইসলাম)। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবছর তিনি ১০ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম ফ্রুট ব্যাগিং করেছেন। তিনি জানান, সচরাচর বাজারে যে আমগুলো পাওয়া যাচ্ছে এগুলো বেশিরভাগ কীটনাশকযুক্ত অনিরাপদ আম। ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কীটনাশকমুক্ত নিরাপদ আম ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম. এম. শাহনেওয়াজ জানান, ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে আমে রোগ-বালাই ও কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাবটা থাকে না, আম দেখতে সুন্দর হয় ফলে বাজার দরটাও বেশি পাওয়া যায়
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় জানান, আমরা প্রতিনিয়তই কাজ করছি যেন দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে আম বিদেশে রপ্তানি করা যায় এবং আমের ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহারে চাষীদের উৎসাহিত করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বান্দরবানে প্রায় ৩ গুণ বেশি ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে।