মো. নুরুল আলম:
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি, আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, চন্দনাইশ থানা পুলিশ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ চন্দনাইশ জোনাল অফিস, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাব, আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে কাসেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনের সাংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের অন্যায়, জুলুম ও শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম রুঁখে দাঁড়িয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গনঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানিদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে জয়যুক্ত হয়ে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি আমরা। এসব কিছুর পেছনে ও নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত পোড়া মাটির এই দেশে এসে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দৃঢ়তার বলে প্রত্যেকটা সমস্যার সমাধান করে সুনিপুণভাবে দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন স্বাধীনতা বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতাকে হত্যা করে এ জাতির মুখে কলঙ্কের দাগ এঁকে দিয়েছিলো। এমনকি ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিলো।
জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এ জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। পলাতক খুনিদেরকেও দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে অচিরেই।”
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মুঃ মাহাবুবুল আলম খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা সোলাইমান ফারুকী, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরু, দোহাজারী পৌরসভা মেয়র লোকমান হাকিম প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবিদুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চিত্রাংকন, কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।