আজ ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এরশাদ আলম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়ায় ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীর মুক্তির দাবীতে অনুষ্ঠিত হওয়া মানববন্ধনের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) উপজেলার একটি রেস্তোরাঁর কনফারেন্স রুমে লোহাগাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের সাথে এ সম্মেলনের আয়োজন করেন বড়হাতিয়া দক্ষিণ চাকফিরানেী, ঘোনারমোড়, ৯নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী এবং মামলার বাদী জাফর আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন, “বিগত ১২ মার্চ ২০২৩ তারিখ রাতে আমি আমিরাবাদ স্টেশন থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় বখাটে ওবাইদুল হক অজ্ঞাত ৩/৪ জন সঙ্গীসহ আমার উপর অতর্কিত হামলা মারাত্মকভাবে মারধর করে এবং আমার কাছে থাকা নগদ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা, ৩ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ও ৪ হাজার টাকা দামের ঘড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করলেও হামলাকারী ওবাইদুল হক সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তাই আমি নিরুপায় হয়ে ওবাইদুল হক ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে বিবাদী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (বন), চট্টগ্রাম এ মামলা দায়ের করি। মহামান্য আদালত মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশকে অর্পণ করেন। ডিবি পুলিশ টিম মামলা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পেয়ে বিজ্ঞ আদালতের বরাবরে প্রতিবেদন পেশ করলে মহামান্য আদালত বিবাদী ওবাইদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আসামী ওবাইদুল হককে গ্রেপ্তার করে হাজতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু দেখা যায় যে, সন্ত্রাসী ওবাইদুল হককে গ্রেপ্তার করার কারণে তারই দলের গডফাদার, কিশোরগ্যাং ও ভাড়া করা লোকদের মাধ্যমে ২৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও অযৌক্তিক মানববন্ধন করে। যা স্পষ্টতই মহামান্য বিজ্ঞ আদালতের চরম অপমান হিসেবে গণ্য। একই সাথে এই অযৌক্তিক মানববন্ধনের কারণে আমার সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মানহানী হয়েছে। আমি এ বিষয়ে আপনাদের নিরঙ্কুষ সহযোগিতা কামনা করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে মো: রফিক, খোরশেদ, নুরুল আমিনসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।