বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -|- ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল -|- ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
hridoyechattogram.com - news@hridoyechattogram.com - www.facebook.com/hridoyechattogram/

চন্দনাইশে জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষ্যে জশনে জুলুস

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

চন্দনাইশ প্রতিনিধি:

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)’র শুভাগমনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে জশনে জুলুছের শোভাযাত্রা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সর্ববৃহৎ জশনে জুলুস। এতে রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও কলেমা খচিত পতাকা নিয়ে জুলুছে যোগদান করেন নবীপ্রেমীরা।

ঐতিহাসিক জুলুছের সদারত (সভাপতিত্ব) ও আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন পীরে তরিকত, নুরে জাঁহাগীরী, শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ শাহসুফি সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলী শাহ মমতাজি (ম.জি.আ.)।

এতে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ ইসলামকে রাসূল করিম (সঃ) এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পরিপূর্ণ ধর্ম হিসেবে পৌঁছে দিয়েছেন। মানবতার মুক্তির জন্য রাসূল (সঃ) অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরীফ চর্চার মাধ্যমে দ্বীন ইসলামকে ধরে রাখার জন্য তিনি আমাদের কাছে রেখে গেছেন। রবিউল আউয়াল মাস ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালনের মাধ্যমে দ্বীন ইসলামের অনুসারিদের আলোকিত জীবনের অধিকারী হতে হবে।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, প্রিয় নবীজির (সা.) শুভাগমনে আল্লাহপাক ফেরেশতাদের নিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে জুলুছ করেছিলেন, যা কোরআন-হাদিসের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। এ ছাড়াও এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, এ জুলুছ নতুন কিছু নয়। দিন দিন জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে, এটা নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপন করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বক্তারা।

শুক্রবার সকালে কাঞ্চননগর শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ থেকে একটি জুলুছের শোভাযাত্রা চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কে গাছবাড়িয়া খাঁনহাট, কলেজ গেইট ও রৌশনহাট এলাকাসহ বেশকটি এলাকা ঘুরে পূণরায় দরবার শরীফে ফিরে আসেন। জুলুছে দশ হাজারেরও বেশি মমতাজিয়া দরবারের ভক্ত, মুরিদ, আশেকান নবী প্রেমিক উপস্থিত ছিলেন।

জুলুছ ও মাহফিলে আনজুমান এ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়ার ট্রাস্ট’র নির্বাহী পরিচালক শাহজাদা মাওলানা মুহাম্মদ মতি মিয়া মনসুর, শাহজাদা মাওলানা খাজা মোবারক আলী, শাহজাদা মাওলানা মনজুর আলী, শাহজাদা মাওলানা আহসান আলী, শাহজাদা মাওলানা হাসান আলী, শাহজাদা মাওলানা মীর মুহাম্মদ মঈন উদ্দিন, মাওলানা মুফতি আলী আহমেদ, মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করিম, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল শুক্কুর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল রহিম, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. নুরুল আলম, ইন্জিনিয়ার নুরুল আলম, ইতিহাসবীদ সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন, ইসলামি গবেষক আবদুর রহিম, মেজর অঃ আদনান নবীন, টেক্স কর্মকতা জাকির হোসেন, মুফতী ইকবাল হোসাইন, মাওলানা রিয়াজ ঢালী,মাওলানা গোলাম রব্বানী, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আবু সাইদ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা সাহাব উদ্দীন প্রমুখ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।